ই-কমার্স বা অনলাইনে ব্যবসা শরীয়তসম্মত নয় উল্লেখ করে জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার ও বক্তা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেছেন, শরীয়তে বাইয়ে ঘারার (যে ব্যবসায় ধোকার আশঙ্কা আছে) সেটা হারাম।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, শরীয়তে ব্যবসার মূলনীতি হচ্ছে বিক্রেতা দিবে, ক্রেতা নেবে। কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এটা হয় না। বাইয়ে মাজহুল যেটা, অদেখা অজানা জিনিস ধারণার উপর ব্যবসা করা যায় না। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে এটা পাওয়া যায়। অতএব এগুলো কখনো শরীয়তসম্মত নয়।
ড. আব্বাসী বলেন, ইসলামের ব্যানার ব্যবহার করে এমন সমিতি, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং, ব্যাংক অথবা ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি থাকা উচিত। এটি হবে বড় বড় আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও ইসলামিক স্কলারদের সমন্বয়ে। ওই কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে তাদেরকে (ই-কমার্স) বৈধতা দিবে। তারপর তারা বাংলাদেশে লেনদেন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখন ডেসটিনি এলো, তখন আমরা তুলে ধরলাম তাদের লেনদেন শরীয়তসম্মত নয়। এরপর যখন সরকার তাদেরকে পাকড়াও করলো- তখন তো দেশের জনগণ ধোকায় পড়েই গেল। লাখ লাখ মানুষ ঘর ছাড়া হয়ে পথে বসেছে। এসব ব্যাপারে আমরা জাতিকে সতর্ক করেছিলাম। সেই কথাগুলো অবশ্যই গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সরকারের কাছে পৌঁছেছে। তখন কেন তাদের পাকড়াও করা হয়নি? এটা আমার প্রশ্ন। সুতরাং দায় শুধু তাদেরকে দিলে হবে না। তাদেরকে যদি আগে থেকে ধরা হতো, তবে জনগণ অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে বেঁচে যেত।