Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ শনিবার, ডিসেম্বার ২০২৪ | ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছুটির দিনে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৩ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আজ শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। করোনা সংকট কাটিয়ে এ যেন নতুন রূপে ফেরা। সৈকতজুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অতিরিক্ত পর্যটক আগমন করে এ সমুদ্র সৈকতে।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক। তারা বালিয়াড়িসহ সাগরের নোনাপানিতে আনন্দে মেতেছেন। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ সেলফিতে মেতে উঠেছেন। কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ভেজাচ্ছেন, কেউবা সি-বেঞ্চে বসে আছেন আরাম করে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকে।

ঢাকা থেকে আসা লামিয়া রহমান বলেন, করোনার আগের সমুদ্রসৈকত আর এখনকার সমুদ্রসৈকত কেমন জানি আলাদা মনে হচ্ছে। মানে আগের চেয়ে সুন্দর ও উপভোগ্য। শুধু অনুভব করতে পারলেই বোঝা যায় ইট-পাথরের শহরের বাইরে সমুদ্রসৈকত কতটা উপভোগ্য।

সিলেট থেকে আসা নুসরাত-সাজিদ দম্পতি বলছেন, তারা কখনো ভাবতে পারেননি করোনা মহামারি কাটিয়ে সৈকতে সময় কাটাতে পারবেন। বিয়ের পর তাদের ইচ্ছে ছিল সমুদ্রে আসবেন। দেরিতে হলেও সে ইচ্ছে পূরণের কারণে তাদের আনন্দের মাত্রা একটু বেশি।

বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফার, জেড স্কি ও বিচ বাইক চালকদের। একই সঙ্গে জমজমাট ব্যবসা বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো।

কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় ৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে আছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এ ধারা অব্যাহত থাকলে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার- এ তিনদিন পর্যটকের ব্যাপক সাড়া মিলছে। মনে হচ্ছে মহামারি কাটিয়ে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পেরেছি।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। করোনার চিন্তা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদেরকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধানে বাধ্য করা হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন বলেন, সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চাপ থাকলেও অতিরিক্ত সদস্য দিয়ে তা মোকাবিলা করা হয়। পর্যটকদের বাধ্য করা হচ্ছে মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে।

Bootstrap Image Preview