প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেনি একজনও। অথচ প্রযুক্তিতে একেকজন বিরাট দক্ষ। ইউটিউবে টিউটরিয়াল দেখে রপ্ত করেছেন হ্যাকিং বিদ্যা। তারপর ফিশিং লিংক পাঠিয়ে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে ব্ল্যাকমেইলিং। মাদারীপুর থেকে তিন হ্যাকারকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দারা বলছেন, জেলার রাজৈর ও শিবচর পরিণত হয়েছে হ্যাকারদের অভয়ারণ্য।
ম্যাসেঞ্জারে বান্ধবীর পাঠানো লিংকে ক্লিক করতেই চাওয়া হয় পাসওয়ার্ড। পাসওয়ার্ড দিতেই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকার। ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নিয়ে দাবি করা হয় টাকা।
ভুক্তভোগী একজন বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত ছবি ছিল। তারা বলেছে, টাকা না দিলে ছবিগুলো ছেড়ে দেব।
এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সন্ধান পায় এমন একটি চক্রের যাদের পেশাই হ্যাকিং। মাদারীপুরের শিবচরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তিন হ্যাকারকে যারা প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ। যদিও তাদের পড়ালেখার দৌড় সর্বোচ্চ চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। গত ২ বছরে তারা প্রায় ২ হাজার ফেসবুক আইডি হ্যাক করার কথ স্বীকার করেছে।
ডিবির উপ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও এরা প্রযুক্তিতে অনেক দক্ষ।
গোয়েন্দা অনুসন্ধান বলছে মাদারীপুর জেলার শিবচর হয়ে উঠেছে হ্যাকারদের ঘাঁটি। উপজেলা দুটির অসংখ্য তরুণ-যুবা জড়িয়ে পড়েছে হ্যাকিংয়ে। তরুণীদের টার্গেট করে ফেসবুকে ফিসিং লিংক পাঠায় হ্যাকাররা। লিংকে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড দিলেই নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তাদের কাছে।
শরীফুল ইসলাম আরও বলেন, ওই এলাকাগুলো হলো হ্যাকারদের ঘাঁটি। এরা ঘুম থেকে উঠেই ডিভাইস নিয়ে বসে হ্যাকিংয়ের জন্য।
হ্যাকারদের আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।