ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবসে লাইভে এসে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল গ্রাহকদের আটকে থাকা পণ্যের অর্ডার ও তার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন বলে জানিয়েছেন নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে।
তিনি জানান, আটকে পড়া পণ্য অর্ডারের কী হবে, তা নিয়ে ঈদের পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশে আরো লিখেছেন, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ইভ্যালির সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে অন্তত ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার।
এ ছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির নেয়া অগ্রিম ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে ইভ্যালির পণ্য ডেলিভারি ও সময়ক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে গত দুদিন ধরে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় বন্ধ। অনেক গ্রাহক তাদের অর্ডার করা পণ্য না পেয়ে ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। তবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নিজের ফেসবুকে দেয়া সোমবার এক স্ট্যাটাসে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল লিখেছেন, ‘ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে আমি লাইভে এসে অতীতের অর্ডার, সেলার পেমেন্ট, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাব। আমি কনফিডেন্টলি বলতে পারি, বর্তমান নীতিমালা মেনে বিজনেস করে ইভ্যালি সকল পেন্ডিং অর্ডার ডেলিভারি করবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
‘যারা বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করছেন ইভ্যালি পুরাতন অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারবে না, তাদের প্রতি অনুরোধ আপনাদের তো কিছুদিন দেখতে আপত্তি থাকার কথা না। কারণ বর্তমান নীতিমালায় পণ্য সরবরাহের পূর্বে আমাদের হাতে টাকা আশার কোনো সম্ভাবনা নাই। আপনার টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’