সিল্কি ও মসৃণ চুল কে না চায়! একমাত্র কন্ডিশনার ব্যবহারের মাধ্যমেই চুল সিল্কি ও রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরানো সম্ভব। তবে অনেকেই চুল সিল্কি করতে বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকেন।
এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তার চেয়ে বাড়িতেই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন কন্ডিশনার। জেনে নিন কীভাবে-
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সিল্কি চুলের জন্য কন্ডিশনার তৈরির উপায় এখানে দেওয়া হল।
উপকরণ
দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, ২ মি.লি. লেবুর এসেনশিয়াল অয়েল এবং এক কাপ পানি।
তৈরির পদ্ধতি
একটা বাটিতে সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। হাতে অথবা ব্লেন্ডার যে কোনোভাবেই মিশিয়ে নিতে পারেন।
সংরক্ষণ
কাচের বোতলে এটা সংরক্ষণ করা সবচেয়ে ভালো। এছাড়া সাধারণ স্প্রে বোতলেও রাখা যেতে পারে।
ব্যবহার পদ্ধতি
প্রতিবার শ্যাম্পু করার পরে ভেজা চুলে এটা স্প্রে করে নিন। দুতিনবার এই স্প্রে ব্যবহারেই পরিবর্তন চোখে পড়বে। চুল আগের চেয়ে মসৃণ ও ঝলমলে হবে।
এবার আসি আরও কিছু পদ্ধতিতে কিভাবে ঘরোয়া কন্ডিশনার বানানো যায় সেই বিষয়ে-
কলার কন্ডিশনার
একটি কলার সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ মধু, ৩ টেবিল চামচ দুধ, ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম ব্লেন্ড করে নিন।
১৫-৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে, তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুলে কতটা জেল্লা দিচ্ছে!
ভিনেগার ও ডিমের কন্ডিশনার
২-৩টি ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভিনেগার, ২ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
তারপর দেড় চা চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ মধু দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১০-১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল তো মসৃণ হয়ই চুল পড়ার বন্ধ হয়।
নারকেল তেল ও মধুর কন্ডিশনার
এক টেবিল চামচ নারকেলের তেলে সমপরিমাণ মধু, গোলাপ জল ও লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করা চুলে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলবেন।
টকদইয়ের কন্ডিশনার
ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজ করে টকদই। এজন্য বাটিতে একটি ডিম ফেটিয়ে নিন। তাতে ৬ টেবিল চামচ টকদই মেশান।
১৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলের জন্য খুবই উপকারী।