Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ সোমবার, অক্টোবার ২০২৪ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমার শরীরে বাজেভাবে স্পর্শ করেন এক মন্ত্রী : সাবেক এমপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২১, ০৫:১৯ PM
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview


অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এমপি জুলিয়া ব্যাংকস বর্তমান এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ, ২০১৭ সালে পার্লামেন্ট হাউসে তাকে বাজেভাবে স্পর্শ করেছিলেন বর্তমানের ওই মন্ত্রী। ব্যাংকস এ অভিযোগ এনেছেন তার এক স্মৃতিকথায়। 

তিনি স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘পার্লামেন্টে ভোট দেওয়ার একটি অধিবেশনের জন্য অনেক এমপির সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত আমিও অপেক্ষা করছিলাম। অধিবেশন চলাকালে ওই মন্ত্রী আমার উরুতে বাজেভাবে স্পর্শ করেন। নিজের স্মৃতিকথা নিয়ে ‘পাওয়ার প্লে: ব্রেকিং থ্রু বায়াস, ব্যারিয়ার্স অ্যান্ড বয়েস ক্লাবস’ নামে বই লিখেছেন ব্যাংকস। সেখানেই এসব অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে বইয়ে ওই মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেননি ব্যাংকস। তিনি লিখেছেন, আমার কাছে ঘটনাটি অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল।

জুলিয়া ব্যাংকসের এই অভিযোগ আবারও অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতাসীন স্কট মরিসনের রক্ষণশীল সরকার এবং বিস্তৃত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করা হয় তা বড় করে সামনে নিয়ে এসেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের অফিস জানিয়েছে, তারা এ ধরনের অভিযোগ আগে পায়নি। তারা বলেছে, এরকম আচরণ একেবারেই অসঙ্গত। এর আগে পার্লামেন্ট হাউজে সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। তা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এ বছরের শুরুর দিকে ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু হয়। 

এ বই লেখার আগেও অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে যৌনতা এবং বহুগামিতা নিয়ে কথা বলেছেন ব্যাংকস। তিনি লিবারেল পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে এই দলটি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। নেতৃত্বের এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে তার পদে আসেন স্কট মরিসন। এরপরই পদত্যাগ করেন ব্যাংকস। তিনি বইতে আরো অভিযোগ করেছেন, যখন তিনি দল থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন তাকে অবমাননা করেন স্কট মরিসন এবং তিনি তার কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। 

তবে স্কট মরিসনের একজন মুখপাত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জুলিয়া ব্যাংকসের সঙ্গে স্কট মরিসনের বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে। ব্যাংকসের পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মরিসন। কী কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা জানতে চেয়েছিলেন মরিসন।

সূত্র: বিবিসি।

Bootstrap Image Preview