করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই কমেছে। এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৬ জন। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮১২ জন।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৯২। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৫১৭ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৮৭ হাজর ২৭৭ জন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬১ জন আর মারা গেছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩৩৫ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১০ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯২ হাজার ৫১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৯ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯৯ জন। মারা গেছেন এক লাখ ১১ হাজার ১৯৭ জন।
বিশ্বে আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ জন ও মারা গেছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন।
আক্রান্তের বিবেচনায় এরপর আছে তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।
এ দিকে সোমবার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড দেখে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ সময়ে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে ৯৯৬৪ জন।
দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে। আর তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৫ হাজার ২২৯ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।