অনেক মানুষ যৌনতার সময় সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কষ্ট দিতে ভালোবাসেন। অনেকে যৌনতার সময় নিপীড়িত হতে বা কষ্ট পেতে ভালোবাসেন। বিভিন্ন সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির মধ্যে অন্যতম স্যাডোম্যাসোচিজম রিলেশন। যৌনতায় স্যাডিজম ও ম্যাসোচিজম বহু প্রাচীন। বিশ্বের ইতিহাসেরিলেশনের নজির কম নেই। আগ্রাসী যৌনতা নিয়ে তৈরি হয়েছে বহু ছবি। তার মধ্যে বাছাই করা ৫টি ছবি আপনি নেটফ্লিক্সে -এ দেখতে পারেন। সিনেমার ইতিহাসে এই ৫ টি মুভি সবচেয়ে হিট।
১. 'দ্য ডিউক অফ বারগেন্ডি': ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। ছবিতে উগ্র যৌনতার কয়েকটি দৃশ্য রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়। লেসবিয়ান লাভস্টোরির উপর তৈরি চিত্রনাট্য। যে সম্পর্ক আপাদমস্তক স্যাডোম্যাসোচিজম। S&M রিলেশনশিপের উগ্রতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তা সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক পিটার স্ট্রিকল্যান্ড। আপনি এ ছবিকে নিঃসন্দেহে 'বিধ্বংসী' বলতেই পারেন।
২. নিমফোনিম্যানিয়াক: ২০১৫ সালের এই ছবিটির কয়েকটি যৌনতার দৃশ্য 'অসহ্য' কড়া। হাইপার সেক্সুয়াল রিলেশনের উপর তৈরি ছবির চিত্রনাট্য। লার্স ভন ট্রিয়ার পরিচালিত ছবিটিতে সার্লট গেইনসবার্গের অভিনয় বেশ নজরকাড়া। যৌনতা এতটাই উগ্র যে, নায়িকা গেইনসবার্গকে নকল ভ্যাজাইনা পরতে হয়েছিল।
৩. কুইলস: ২০০০ সালের এই ছবিটি স্যাডোম্যাসোচিজম সেক্সের অন্যতম স্রষ্টা মারকুইস ডে স্যাডে-র উপর তৈরি। S&M-এর ইতিহাস ছবির চিত্রনাট্য। স্যাডে-র ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করে অস্কার মনোনয়নও পেয়েছিলেন অভিনেতা জিওফ্রে রাস। কেট উইন্সলেটেরও অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
৪. ভেনাস ইন ফার: ২০১৩-র এই ছবি ১৮৭০ সালের অস্ট্রিয়ান সাহিত্যিক লিওপোল্ড ভন সাচার-ম্যাসোচের উপন্যাসের উপর তৈরি একটি নাটকেরই সেলুলয়েড ভার্সান। রোমান পোলানস্কির পরিচালিত এই ছবিতে ম্যাসোচিজম রয়েছে পুরোমাত্রায়।
৫. ইন্টেরিয়র: লেদার বার: ২০১৩-র এই ছবিটি দেখে অনেকে বলেছিলেন, 'নটোরিয়াস গে' মুভি। এই ছবিতে S&M ক্লাবের সদস্যদের উগ্র যৌনতা বহুল চর্চিত ও বিতর্কিত।