কাউকে না জানিয়ে ‘জবা বৌদি’ বিয়েটা করেই ফেলল, এমনই কথা বার্তা চলছে নেটমাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের জবার সঙ্গে বিয়ে করে ফেললেন ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত নোবেলম্যান। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে।
বিতর্কিত মন্তব্য করে একের পর এক আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। এবার আরেক কারণে তিনি আলোচনায় আসলেন।
সোশ্যাল প্লাটফরমে অনেকে বলছেন, ভারতীয় ধারাবাহিক ‘কে আপন কে পর’-এর জবার সঙ্গে বিয়ে করে ফেলেছেন ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত নোবেল। সম্প্রতি ইন্টারনেটে তাদের তেমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
তাহলে সত্যিই কি তারা বিয়ে করে ফেলেছেন? এ বিষয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা তারকাদের ছবি কাটাছেঁড়া করা নতুন ঘটনা নয়। নোবেলের এই ঘটনা তেমনি একটি। তার এক বছর আগের পুরনো ছবি এনে একজন এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে ২০২০ সালে নিজের বোনের সঙ্গে একটি ছবি দেন নোবেল
২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ইনস্টাগ্রামে নিজের বোনের সঙ্গে একটি ছবি দেন নোবেল। ছবিতে দেখা যায়, নোবেল ও তার বোন একটি ফুলের মালা গলায় দিয়ে আছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই ছবিতে নোবেলের বোনের মুখে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী পল্লবীর মুখ বসিয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তারপর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘কাউকে না জানিয়ে জবা বৌদি বিয়েটা করেই ফেলল’।
যে ছবি থেকে বোনের মুখ কেটে অন্য ছবি তৈরি হল, সেই ছবি নিয়ে আগেই নেটমাধ্যমে কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন নোবেল। মেয়েটিকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পরেও তুমুল সমালোচনার মুখে পরেন তিনি। পাশাপাশি জবা চরিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য ‘পল্লবী শর্মা’-কে আগেও বহু বার কটাক্ষ করা হয়েছে নেটপাড়ায়। কখনও ধারাবাহিকে কাঁচি দিয়ে বোমের তার কাটার জন্য আবার কখনও আগুনের ওপর দিয়ে হেঁটে আগুন নেভানোর জন্য। এ বারে দু’জনে এক ছবিতে বন্দি হয়ে কটাক্ষের শিকার হলেন।
এ নিয়ে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আহারে, শেষ পর্যন্ত মানসিক রোগী সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের প্রিয় জবা বৌদি’। আবার একজন লিখেছেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে স্টার জলসায় যা যা কীর্তি দেখিয়েছেন, আরও আগেই ওনার (পল্লবী) নোবেল পাওয়া উচিত ছিল’। কেউ কেউ তাদের বিয়ে নিয়ে সত্যিই উৎসাহী। কেউ আবার হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন বিষয়টি।