লীনা পারভীন: একজন ব্যক্তি কার সঙ্গে থাকবে বা প্রেম করবে সেটা একান্তই তার নিজস্ব বিষয়। আমি মনে করি মানুষের জীবনের যেকোনো বয়সেই প্রেম বা ভালোলাগার বিষয়টি আসতেই পারে। কসম কেটে প্রেমে তওবা করা একপ্রকার মৌলবাদী চিন্তা। তাই আমার কাছে প্রেম মানেই প্রেম, এখানে ‘কীয়া’ বা ‘পরকীয়া’ বলে কিছু নেই। কে এর ডাকে সাড়া দেবে বা দেবে না সেটা নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রেমের নামে যদি আপনি সুবিধাবাদী আচরণ করেন, ব্যবসা ফাঁদেন বা কারও আবেগ বা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে এক্সপ্লয়েট করেন তাহলে সেটা অপরাধ। প্রেম হচ্ছে হৃদয়বৃত্তির বিষয় যেখানে শরীরই প্রধান নয়। শরীর প্রধান হলে সেখানে প্রেম থাকে না, থাকে কেবল কামবৃত্তি।
আবার আপনি প্রকাশ্যে নারীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন, গালি দেবেন। পাপিষ্ঠ বলবেন। অন্যের প্রেম ভালোবাসাকে ‘জেনা’ করা বলে টাইটেল দিয়ে ওয়াজ করবেন তাহলে সেই কাজ করার অধিকার আপনার থাকে না। মামুনুল হক যদি স্বীকার করে নেন যে সমাজে নারীপুরুষ অবাধে মিলামেশায় তার আপত্তি নেই, নারীরা সমাজে নিজের অধিকার নিয়ে চলতে পারবে এবং ফতোয়া দিয়ে নারী পুরুষের মধ্যকার সুন্দর সম্পর্ককে কালিমালিপ্ত করা অন্যায় তাহলে আমিও তার এই সম্পর্ককে মেনে নেবো।
আপত্তি এসেছে কারণ মামুনুল হক একজন আপাতমস্তক ভন্ড ফতোয়াবাজ। সারাদিন নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বেড়ান। ধর্মকে আশ্রয় করে জঙ্গিবাহিনী পালেন। রাষ্ট্র থেকে সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধতা করে যাচ্ছেন। যেহেতু মামুনুলদের তৈরি করা ধর্মভিত্তিক সামাজিক ব্যবস্থায় নারী পুরুষের খোলামেলা মিলামেশা নিষিদ্ধ তাই এর প্রচারকারী হিসাবে মামুনুল সেই কাজ করে অপরাধ করেছে। মামুনুলের উচিত খোলামেলা সমাজের লক্ষ্যে লড়াইয়ে নামা।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।।