সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন অনেকেই অপরিচিত মানুষের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করে থাকে। দেশে এমনকি বিদেশের কারও সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে একসময় বিয়েও হয় এমন জুটির।
এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে। এমনও অনেক দৃষ্টান্ত আছে যেখানে বিদেশ থেকে প্রিয়জনের টানে এদেশে এসে বিয়ে করেছেন সঙ্গীকে।আবার এর বিপরীত ঘটনাও আছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম করে প্রতারিত হয়েছেন। যেহেতু ভার্চুয়ালি সম্পর্ক গড়ে ওঠে এ প্লাটফর্মে, তাই যে কেউই প্রতারিত হতে পারেন!
এজন্য কারও সঙ্গে এভাবে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে সাত-পাঁচ ভাবতে হবে। বিশেষ করে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস আনতে তার কয়েকটি লক্ষণ দেখে বুঝে নিন-
প্রিয়জন আপনাকে শ্রদ্ধা করে কি-না তা তার কথার মাধ্যমেই প্রকাশ পাবে! এজন্য সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল হওয়াটা জরুরি। এটি যেমন আপনাকে মানতে হবে; তেমনই তার জন্যও জরুরি। আপনার পছন্দ না হলে আপনি সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসবেন, কিন্তু অযথা কাউকে অপমান করবেন না।টাকা প্রসঙ্গে যদি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা নিয়মিত প্রশ্ন করে থাকেন; তাহলে তার উপর সহজেই আস্থা আনবেন না। এমনকি টাকা বিষয় কোনো গোপন তথ্যও ভার্চুয়াল পার্টনারকে দিবেন না।
তার মাসিক ইনকাম বা কি কি আছে সম্পত্তি? এসবও জানতে চাইবেন না। আপনার সঙ্গী যদি কোনোদিন এ বিষয়ে আপনাকে প্রশ্ন করে না থাকেন; তাহলে বুঝবেন তিনি খাঁটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিজের তথ্য গোপন করেন। স্কুল, কলেজের নামও ভুল দেন। সেই সঙ্গে নিজের ছবি থাকে না। সব মিলিয়ে মিথ্যে প্রোফইল তৈরির একটা প্রবণতা থেকেই যায়। তবে যার প্রোফাইলের সব তথ্যই সঠিক, তিনি বিশ্বস্ত হতে পারেন।
তিনি নিয়মিত কেমন ছবি বা পোস্ট শেয়ার করছেন তা দেখেও আপনি তার সম্পর্কে কিছু আঁচ করতে পারবেন। যদি দেখেন তিনি নিজের ছবি, নিজের কাজ প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন; তাহলে ধরে নিন যে এ প্রোফাইলের মালিকও তিনি।
সঙ্গী কি শুধু আপনার প্রতিই কৌতূহলী না-কি নিজের কথাও জানায় কিছু? পরিবার, জীবন, কর্মক্ষেত্র সবই যদি সে আপনার সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে তিনি মানুষ হিসেবে সৎ!
অন্যদিকে পরিবারের প্রশ্ন করলে যদি সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়, তাহলে হতে পারে তিনি প্রতারক। এজন্য সব বিষয়ে জেনে-বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।