রাশিদুল ইসলাম : কন্যা সন্তানের বাবা হিসেবে আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমার মত কন্যার বাবাদের কাছে, সংশ্লিষ্ট অথরিটির কাছে মিনতি করছি চিড়িয়াখানায় ধর্ষকদের জন্যে একটি খাঁচা চাই। সেখানে ধর্ষককে উলঙ্গ করে রাখা হোক কারণ সে মানুষ নয়। যারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে বিশ্বাস করেন না তাদের সমর্থন করেই বলছি ধর্ষকদের আর ছাড় দেয়া যায় না। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া, পেশীশক্তি, মাদক সমস্যা, অপসংস্কৃতি ইত্যাকার কারণ খুঁজে যারা ধর্ষণের জন্যে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে চান তারা তা করুক। কিন্তু একজন বাবা হিসেবে আমি আমার ও বাংলাদেশের মেয়েদের জন্যে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা বোধ করছি।
ধর্ষকদের জন্যে একটি খাঁচায় ধর্ষকদের আটকে রাখা মাত্রই তাদের প্রতি ঘৃণার বহিৎপ্রকাশ অন্তত ঘটতে শুরু করবে যা সমাজে ইতিবাচক দিক হয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে। যতক্ষণ আমার ঘর আক্রান্ত না হচ্ছে ততক্ষণ আমি নিরাপদ এ বোধ আর অবশিষ্ট নেই। মাস্টারমাইন্ডের ও লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিনকে গ্রুপ স্টাডিতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। যাদের ঘরে এমন ধর্ষক সন্তান রয়েছে তাদের বাবারা চিড়িয়াখানায় খাঁচায় দিয়ে যেতে পারেন।
দর্শকদের হাতে একটি বেত থাকবে, তার আগায় থাকবে একটি পেরেক। পাশে একটি কাপে রাখা হবে বেনজিন। বেনজিনে ডুবিয়ে ওই পেরেক দিয়ে ধর্ষকদের কেউ খোঁচা মারতে চাইলে মাত্র দশ টাকা দিতে হবে। কেউ সেলফিও তুলতে পারেন ধর্ষকদের সঙ্গে অন্তত যাদের মনে ধর্ষণের কুপ্রবৃত্তি কাজ করে। পাশেই ছোট ছোট কয়েকটি ক্ষুধার্ত কুকুর রাখা যেতে পারে। পেরেকের খোঁচা আর সহ্য করতে না পারলে ধর্ষকদের অস্ত্রটি কেটে কুকুরগুলোকে খাওয়ানো হবে। তারপর চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিচ্ছি যেমন আইনের শাসকরা ধর্ষকের সুবিচার ও দৃষ্টান্তমূলক আশ্বাস আমাদের দিয়ে থাকেন।