উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হচ্ছে নীরব ঘাতক। তবে ঘরোয়া কিছু বিষয় মেনে চললে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সজনেগাছের পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে চা-কফি বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ব্লাড প্রেসার কম থাকে। এ ছাড়া বাড়তি চর্বি কমবে। সজনে চায়ের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই নির্ভয়ে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে কাঁচা লবণ খাওয়া যাবে না। আর রান্নাতেও যতটা সম্ভব লবণ কম দিন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের সময় হৃদপিণ্ড শক্ত হয় এবং পাম্প করতে চাপ কম লাগে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাইয়ের তেল, মাছ পর্যাপ্ত খাওয়া উচিত। দ্রবণীয় আঁশ পরিপাক নালি থেকে স্পঞ্জের মতো কোলেস্টেরল শুষে নেয়। শিম, বার্লিতে প্রচুর আঁশ থাকে।
ধূমপান করলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরল বা বেশি ঘনত্বের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে।
পটাশিয়ামযুক্ত কলা ও পালং শাকের তৈরি একটি পানীয় খেতে পারেন। এই পানীয় উচ্চ রক্তচাপ কমায়।পালং শাক ও কলা দিয়ে কীভাবে এই পানীয় তৈরি করবেন। ২ টি কলা টুকরো করে কাঁটা, ১ কাপ পালং শাক, তিন টেবিল চামচ কমলার রস।বেল্ডারে কমলার রস ও কলা একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন। এরপর এতে পালং শাকগুলো যোগ করে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করুন। যদি মিশ্রণটি ঘন হয় তাহলে এতে সামান্য জল যোগ করে আবারও ব্লেন্ড করুন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত এই স্মুদি খেতে পারেন।
কলা ও মধুর মিশ্রণ একত্রে খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়।কলা ও মধু একসঙ্গে খেলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এটি আর্টারিতে প্লাক তৈরিতে বাধা দেয়।কলা পটাশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কলা মধুর মিশ্রণ কীভাবে তৈরি করবেন? একটি কলার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের অংশটি কয়েক টুকরো করে নিন। মধু নিন এক টেবিল চামচ। এবার কলা ও মধু একত্রে ব্ল্যান্ড করুন। তৈরি হয়ে গেল কলা ও মধুর মিশ্রণ।
কিডনি রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা:
চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, বিচি ছাড়া শশা, সজনা, ডাঁটাশাক, লালশাক, কচুশাক, ঝিংগা, পেঁপে, হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি।
যেসব সবজি খাবেন না
ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, কচু, মুলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, মুলাশাক ইত্যাদি। ডাব, কলা, আঙুর একেবারেই খাবেন না, কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি।