শীতে না গরমে মহামারী করোনাভাইরাস বেশি ছাড়ায় এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকে। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে এই ভাইরাস কম ছাড়াতে পারে, এখনও এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে গরম বা শীতে সব আবহাওয়াতেই এ ভাইরাস টিকে থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে করোনা থেকে মুক্তির এখনই কোনো উপায় দেখছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও জানান, ‘এখনই লকডাউন ছেড়ে দেয়া কোনো দেশের পক্ষেই উচিত নয়। বিপদ এখনও কাটেনি।’
বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে বৈশাখী তাপমাত্রা বেড়েছে। একটা সময় অনেকেই আশা করেছিলেন গরম ও আর্দ্রতা বাড়লে হয়তো কমবে করোনা সংক্রমণের গতি।
তবে তেমনটি ঘটেনি। তাপমাত্রা আর আর্দ্রতা বাড়লেও ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা এখনও ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে ঠিক কত তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হয়ে যায় তা জানালেন মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়।
ড. বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় যদি এই ভাইরাসের প্রকোপ কত হতো, তবে মুম্বাইয়ে এই ভাইরাস কোনোভাবেই এতটা সংক্রমিত হতো না। এপ্রিল মাসে সেখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মার্চের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অথচ এপ্রিল মাসেও সে দেশে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
তিনি বলেন, এই ভাইরাস কত তাপমাত্রায় সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হয় তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চলেছে। সম্প্রতি একদল ফরাসি বিজ্ঞানী তাদের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, তিন রকম তাপমাত্রায় করোনাভাইরাসের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
ফরাসি বিজ্ঞানীরা জানান, ৫৬ ডিগ্রি, ৬০ ডিগ্রি এবং ৯২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় করোনাভাইরাসের প্রভাব ফেলতে পারে।
দেখা গেছে, ৯২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এই ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হয়ে যায়।
তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। শুধু লকডাউনই করোনার সমাধান নয়, এর সঙ্গেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত টেস্ট!
তথ্যসূত্র: জিনিউজ