গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় আরও তিন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কুমিল্লায় ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় ৩৯ জন করোনার রোগী পাওয়া গেল।
নতুন আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে রয়েছেন লাকসামের ৫০ বছর বয়সী এক পুরুষ, সদর দক্ষিণ উপজেলার ৪০ বছর বয়সী এক যুবক ও দেবীদ্বারের ৫৮ বয়সী এক পুরুষ। দেবীদ্বারের ব্যক্তিটি গত মঙ্গলবার করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ও জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন মো. সাহাদাত্ হোসেন। তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিরা গ্রামের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন। বাড়িতেই তাঁদের চিকিৎসা চলবে। বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনার রোগী পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে জেলায় ৩৯ জন করোনা 'পজিটিভ' হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন তিতাস উপজেলার আটজন (বাবা ও মেয়েসহ) , দাউদকান্দির আটজন, বুড়িচংয়ের সাতজন (একই পরিবারের তিনজনসহ), চান্দিনার চারজন, বরুড়ার দুজন, দেবীদ্বারের দুজন, লাকসামের দুজন, সদর দক্ষিণের দুজন এবং হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম ও মেঘনায় একজন করে। দেবীদ্বার উপজেলার আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বরকামতা ইউনিয়নের একজন আগেই মারা গেছেন। একই ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা গত মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা থেকেই তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষায় ১২টি উপজেলার ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন । জেলায় অন্তত ৬০ লাখ বাসিন্দা আছেন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তি আছেন অন্তত ১৫ হাজার। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে এসেছে ৭০৮ জনের।