আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লবণ ও চিংড়ি চাষীরা যেন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর দেবে সরকার। ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেল তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। শ্লোগান দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। বিএনপির দাবি দেশে নাকি তাদের গণজোয়ার চলছে। প্রকৃত অর্থে গণজোয়ার বিএনপির দিবাস্বপ্ন। বিএনপি আন্দোলনে ভাটা, নির্বাচনেও ভাটা, জোয়ার তারা দেখে না। জোয়ার তারা কখনোই দেখতে পাবে না।
দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, চকরিয়াবাসির কাছে জাফর আলমকে দিয়ে গেলাম। আপনাদের যত সমস্যা সবকিছু তাকে বলুন। তার জন্য ও চকরিয়াবাসির জন্য সবসময আমার দরজা খোলা থাকবে।
২২ জানুয়ারি (বুধবার) বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া সরকারী কলেজ ময়দানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ¦ জাফর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংর্বধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী ( শেখ হাসিনা) সেদিন সীমান্তের উদার দুয়ার খুলে দিয়েছেন-মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য। নেতা কর্মীদের নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম-আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। আজকে কক্সবাজারের মানুষ অস্তিত্বের সংকটে। উখিয়া টেকনাফের মানুষ আতঙ্কে আছে। তারা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গেছে। আমরা যাদের মানবিক আশ্রয় দিয়েছিলাম- আজকে তাদের কারণে স্থানীয়রা মানবিক সংকটে পতিত হয়েছে।’
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের চৌধুরীরের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু-সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, মমহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশোক উল্লাহ রফিক,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসবার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংসদ কানিজ ফাতিমা, কথা কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবেরী সরোয়ার,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা চেয়ারম্যান, শওকত ওসমান চেয়ারম্যান, মহসিন বাবুল চেয়ারম্যান, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, টৈইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়ুয়া, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান লিটন, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথখ, আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন আলমগীর চৌধুরী, কাকারা ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার ২৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী শত শত গাড়ি বহর নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত মহাসড়কে নির্মিত হয় শত শত তোরণ। মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কড়া কড়ির কারণে মহাসড়কে ৪ ঘন্টা ব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চকরিয়ার আভ্যন্তরিণ সড়কের সকল যানবাহন বন্ধ থাকে।