ভারত জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে চলছে বিক্ষোভ ও অশান্তি। আর এমন সময়ই রাজস্থানের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন নীতা কানওয়ার। পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে নাগরিকত্ব পান তিনি। এরপরে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেছেন।
জানা গেছে, নীতা কানওয়ার বিবাহ সূত্রে ভারতে এসেছিলেন। এরপর ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন তিনি। সেপ্টেম্বরে ভারতের নাগরিকত্ব পান তিনি।
নীতা কানওয়ারের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানে। এরপর ২০০৫ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে এসেছিলেন। অজমেঢ়ের সোফিয়া কলেজ থেকে তিনি কলা বিভাগে স্নাতক হন। ২০১১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে নাতওয়ারার বাসিন্দা পুণ্য প্রতাপ করণের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন নীতা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের নাগরিকত্ব পান তিনি।
রাজস্থানের টঙ্ক জেলার নাতওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন নীতা কানওয়ার। সেখানে লড়াই করেছিলেন সাতজন প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী সোনু দেবীকে তিনি হারিয়েছেন ৩৬২ ভোটে। ১০৭৩টি ভোট পেয়েছেন নীতা।
এই জয়ের পর নীতা জানিয়েছেন, তিনি সংশোধীত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সমর্থন করেন। সিএএ-র জন্যই তিনি আজ এই দেশের নাগরিক। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই সরকার এই আইন প্রনয়ণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। সততা ও পরিশ্রমের সঙ্গে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবো আমি।
নীতার শ্বশুরের নাম ঠাকুর লক্ষ্মণ সিংহ করণ। তিনি স্থানীয় কংগ্রেস নেতা। তিনবার প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নাতাওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতটি নারী সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় এ বছর ভোটে নীতাকে লড়াই করার প্রস্তাব দেন তিনি।
রাজস্থানে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে। শুক্রবার ছিল প্রথম দফার ভোট। সেদিন টঙ্ক জেলার ৮৯ পঞ্চায়েতের সঙ্গে ২ হাজার ৬৯০টি পঞ্চায়েতে নির্বাচন হয়।