শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধিরা হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত কাজ ভেকু ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকায় নিজেদের পকেট ভারী করছেন।
৪০ দিনের এ সকল কাজ হতদরিদ্র দিয়ে করানোর কথা থাকলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা অল্প টাকা খরচ করে ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এসব কাজ শেষ করেছে। বিপরীতে অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শ্রমিকদের ভুয়া তালিকা দেখিয়ে বিল তুলে নিচ্ছে তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ৩১ নং প্রকল্পে চরকুমারীয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে ডামুড্যার সীমানা থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ৫০ জন শ্রমিক ৪০ দিন কাজ করার কথা রয়েছে।
স্থানীরা জানান, হতদরিদ্র শ্রমিকদের দিয়ে কাজ না করিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করিয়েছেন সেখানকার মেম্বার দুলাল মিয়া। ৪০ দিনের এসব কাজ বরাদ্দের সামান্য অংশ খরচ করে ভেকুর মাধ্যমে ১২ দিনেই শেষ করে ফেলেছেন তিনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
চরকুমারিয়ার পার্শবর্তী ইউনিয়ন আরশিনগরেও একই অনিয়ম করা হয়েছে। সেখানে ৬৫ নং প্রকল্পে ৫ নং ওয়ার্ডে মোকলেস আখনের স্কুল থেকে মেগা দেওয়ানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ৪ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ৫২ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা রয়েছে। কিন্তু ৫নং ওয়ার্ডে এমন কোন প্রকল্প খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে ৪নং ওয়ার্ডে মোকলেস আখনের বাড়ি থেকে মেগা দেওয়ানের বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তা রয়েছে, যা ভেকু মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে।
হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত এসব প্রকল্পের কাজ ভেকু ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে করানোর ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে চরকুমারীয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার দুলাল মিয়াকে মুঠোফোনে বারবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের অর্ধেক বিল এখনো দেয়া হয়নি।