বিশ্বজুড়ে মাদক হিসেবে পরিচিত গাঁজা। তবুও অনেক দেশে এটি সেবনে বৈধতা রয়েছে। গাঁজাকে আমরা খারাপ চোখে দেখলেও চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে এটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজার ব্যবহারে শারীরিক কোনো ঝুঁকি নেই বরং মিলবে উপকার। এছাড়া গাঁজা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।
১. নির্দিষ্ট পরিমাণ গাঁজা ব্যবহার করলে মৃগী জাতীয় স্নায়ু রোগের উপশম ঘটে, এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ২০১৩ সালেই তাদের এই গবেষণা, ফার্মাকোলজি এন্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।
২. যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানায়, গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যাতে অন্ধত্ব আনে। প্রায় ১০ বছর আগে এই বিষয়টি জানা গেছে। তবে গাঁজা গ্লুকোমা রোধে সাহায্য করে।
৩. স্মৃতি বিভ্রাট ঘটে যাদের তাদের জন্য গাঁজা বেশ কার্যকরী এক উপাদান। এটি মস্তিস্ককে দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। এমনটাই জানিয়েছেন দ্য জার্নাল অব অ্যালঝাইমার ডিজিজ।
৪. যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যান্সার অর্গ-এ জানানো হয় গাঁজা টিউমারের ঝুঁকি কমায়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুসারে। গাঁজা টিউমার প্রতিরোধকের ভূমিকা পালন করে।
৫. ক্যান্সার রোগীদের নিয়মিত কেমোথেরাপি নিতে হয়। এক্ষেত্রে গাঁজা কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমায়। ইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে এই তথ্য।
৬. গাঁজা মস্তিষ্ক সুরক্ষায় সহায়তা করে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহাম এমনটিই জানিয়েছে।
৭. গাঁজা সেবনে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে না বরং বাড়ে। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে এই তথ্যের। ৫ হাজার ১১৫ জন রোগীর উপর ২০ বছর চালানো ওই গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক সেবনকারীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে অথচ গাঁজা সেবনকারীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।