Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ বৃহস্পতিবার, নভেম্বার ২০২৪ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দল জিততে হলে সামগ্রিক পারফরম্যান্স প্রয়োজনঃ আল আমিন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৩ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিপিএলের পরেই পাকিস্তান সফর। এরপর সামনে বিশ্বকাপ। বিসিবি সব মিলিয়ে বিপিএল থেকেই বাছাই করবে চূড়ান্ত দল। তাই নিজের পারফরম্যান্সের পুরোটা ঢেলে দিতে মরিয়া অংশগ্রহন করা খেলোয়াড়রা। সে ক্ষেত্রে আল আমিন হোসেন নিজেকে কতটুকু উপযুক্ত মনে করেন নিজেকে টি-২০ ফরম্যাটে?

সাক্ষাৎকারে নিজের দল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও নিজের অবস্থান সম্পর্কে আল আমিন হোসেন যা জানান বিডিমর্নিং পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল।

পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে আছেন, সম্ভাবনা কতটুকু শেষ চারে যাওয়ার?

আসলে সবার জন্যই চ্যালেঞ্জিং। সবার ৫-৬টা করে ম্যাচ শেষ হয়েছে, আরও ৫-৬টা করে আছে। অনেকে দুইটা, অনেকে তিনটা আবার অনেকে চারটাও জিতেছে। সবকিছু মিলিয়ে ঢাকা পর্বে দুই তিনটা ম্যাচ হবে এখান থেকে যারা ম্যাচ জিতবে তারাই এগিয়ে থাকবে। চট্টগ্রামে আমরা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। উইকেট অনেক ভালো ছিল বোলাররা অনেক লড়াই করেছে। সব কিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় সবাই প্রস্তুত। ঢাকায় ভালো কিছু আশা করতেছি।

দুইজন বিদেশি চলে গেছেন আবার দুইজন যোগ দিয়েছেন, কম্বিনেশনে সমস্যা হবে?

না। আপনি দেখেন একজন ব্যাটসম্যান গেছে এবং একজন অলরাউন্ডারই গেছে। সেখানে আবার একজন ব্যাটসম্যান এবং একজন অলরাউন্ডার এসেছে। যে দুইজন প্লেয়ার আসছে বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে এবং আমার কাছে মনে হয় তারা খুব দ্রুত দলের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। ভালো কিছু হবে আশা করি।

বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ কিনা বিপিএল?

একটু বলতে পারেন। কারণ এই ধরণের উইকেট সচরাচর খেলা হয়নি। অনেক সহজ একটি উইকেট। আপনি এমন উইকেটে খেললে প্রথম দুই-তিনটা ম্যাচ একটু সমস্যায় পড়বেন। এরপর আপনার মাথা খুলতে থাকবে এবং আপনি প্রস্তুতি নেবেন এই ধরণের উইকেটে কীভাবে বোলিং করা যায় সেটার। এটা জাতীয় দলে খেললে অনেক সাহায্য করবে। অনেক সময় ট্রু উইকেট থাকে। এখানে প্রস্তুতি নিলে পরবর্তীতে ট্রু উইকেটে কীভাবে বোলিং করা যায়, মানিয়ে নেয়া যায় সেটা কাজে লাগানো যাবে।

টি-টোয়েন্টির বোলার হিসেবে নিজেকে মনে করেন, এবারের বিপিএল পারফরম্যান্সে কী মনে হচ্ছে?

আমার কাছে মনে হয়ে খেলা গেছে মাত্র ৬টা। চারটা ম্যাচ খুব ভালো হয়েছে, দুইটা ম্যাচ খারাপ গেছে। এখনও ৬টা খেলা আছে, খুব বেশি খারাপ কিছু হয়নি। আসলে দল জিততে হলে সামগ্রিক পারফরম্যান্স প্রয়োজন। বোলাররা যদি ভালো পারফরম্যান্স করে, কিন্তু ব্যাটসম্যানরা না করলে তো জেতা সম্ভব না। আমি টি-টোয়েন্টি বোলার হিসেবে যে পারফরম্যান্স করে থাকি এটা এখনও করতে পারিনি। এখনও ৬টা ম্যাচ আছে , আশা করি আমি আমার ধারায় ফিরতে পারব। পুরনো বলে বোলিং করছে? আসলে দলের প্রয়োজনে। জাতীয় দলে হয়তো নতুন-পুরনো সব দলেই করি। সব ধরণের পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। অধিনায়ক যখন দেবে তখনই বোলিং করতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ভালো করাটাই চ্যালেঞ্জ। হয়তো চ্যালেঞ্জটা কখনো সাফল হচ্ছি, কখনও হচ্ছি না। চেষ্টা করব যে কোনো পরিস্থিতিতে আরও ভালো কিছু করার যাতে দলের জয়ে কাজে আসে।

কোনটা বেশি উপভোগ করেন?

আসলে এখানে ইঞ্জয় করা বলতে বোলার হিসেবে দায়িত্বটাই আগে। সবারই দায়িত্ব থাকে , বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান বলেন। যখন আমাকে নতুন বলে দিবে তখন আমার লক্ষ্য থাকবে উইকেট। আবার যখন পুরনো বলে বোলিং করতে হবে তখন আমাদের রানটা থামাতে হবে। পরিস্থিতি যা চায় আরকি। হয়তো আপনার এখন উইকেট দরকার, আমি ব্যাটসম্যানকে আক্রমণ কর তখন রান হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় আমারও রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে হয়। নতুন বলে বোলিং করলে উইকেট পাওয়ার চান্স বেশি থাকে, পুরনো বলে করলে থাকে না।

Bootstrap Image Preview