পৃথিবীতে অসংখ্য জাতি আছে। প্রতিটি জাতির নিজস্ব ইউনিফরম তথা স্বতন্ত্র প্রতীক আছে। সেই হিসেবে মুসলিম জাতিরও স্বতন্ত্র ইউনিফরম থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। গোঁফ ছোট রাখা এবং দাড়ি লম্বা রাখা মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতীক। দাড়ি রাখা কোনো ফ্যাশন নয়, এটি ইবাদত। এটি মহানবী (সা.)সহ সব নবীর সুন্নত। সুন্নহসম্মত দাড়ি কোনো ব্যক্তি মুসলিম হওয়ার অন্যতম নিদর্শন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ১০টি বিষয় সব নবী-রাসুলের সুন্নত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম। (মুসলিম শরিফ : ১/১২৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইশরাদ করেছেন, ‘তোমরা গোঁফ কাটো এবং দাড়ি লম্বা করো, আর অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা করো।’ (মুসলিম শরিফ : ১/১২৯)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা করো, আর গোঁফ ছোট করো।’ (বুখারি শরিফ : ২/৮৭৫)
কেন দাড়ি বড় করতে এবং গোঁফ ছোট করতে বলা হয়েছে? এর জবাব হলো, দাড়ি এমন জিনিস, যার দ্বারা ছোট ও বড়দের মাঝে পার্থক্য করা যায়। এটি পুরুষদের জন্য একধরনের সৌন্দর্যবর্ধক এবং তার আকৃতি পূর্ণকারী। এ জন্য সেটাকে বৃদ্ধি করা আবশ্যক। আর দাড়ি কর্তন করা অগ্নিপূজকদের পদ্ধতি এবং তাতে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির পরিবর্তন সাধিত হয়। তা ছাড়া সব নবী ও বুজুর্গ দাড়ি রেখেছেন। দাড়ি কাটার মধ্যে যদি কোনো কল্যাণ ও উপকার থাকত, তাহলে সর্বপ্রথম তাঁরাই কাটতেন। কেননা এসব লোক পৃথিবীবাসীর জন্য মঙ্গল ও কল্যাণের নমুনা। আর গোঁফ কাটার কারণ হলো, গোঁফ বড় হওয়ায় খাদ্যদ্রব্য গোঁফে লেগে যায় এবং ময়লা-আবর্জনা তাতে লেগে থাকে। পাশাপাশি এটি অগ্নিপূজকদের স্বভাবের অন্তর্গত, যাদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা করো, গোঁফ কাটো এবং দাড়ি লম্বা করো।’
মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।