ঢাকার খুব কাছেই এমন সুন্দর কিছু জায়গা আছে যেখানে কম সময়ের মধ্যে কাটিয়ে আসতে পারেন উপভোগ্য কিছু মুহূর্ত। যদিও আমরা গোলাপ গ্রাম (Golap Gram) বলি মূলত এই গ্রামটির নাম সাদুল্লাপুর যা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে সাদুল্লাপুর গ্রামে অবস্থিত। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত সব ঋতুতেই চলে গোলাপ চাষ হয়। তাই আপনার ডে ট্যুরের ভ্রমণ লিস্টের প্রথমেই থাকতে পারে।
কিভাবে যাবেনঃ আপনি কয়েক ভাবে যতে পারবেন।
নৌপথঃ ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে মিরপুর ১ নাম্বার অথবা দিয়াবাড়ি ঘাট নামবেন। (এই ডিয়াবাড়ি উত্তরা দিয়াবাড়ি না। মিরপুর মাজার থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা) এর পর দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে নৌকা করে সাদুল্লাপুর বাজার নামবেন। লোকাল নৌকা ২৫ টাকা জন প্রতি ভাড়া। ১০ থেকে ২০ মিনিট পর পর ছেড়ে যায় এছারাও রিজার্ভ শ্যালো ইঞ্জিন নৌকা নিতে পারেন ৩০০ টাকা নিতে পারে। সাদুল্লাপুর বাজার থেকে শেয়ার অটোতে ১০ টাকা করে যেতে পারেন গোলাপ গ্রাম।
সন্ধ্যা ৬টার পর নৌকা বন্ধ হয়ে যায়
সড়কপথঃ আপনি বাই রোডে যেতে পারবেন গোলাপগ্রাম। ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে বিরুলিয়া ব্রিজ অথবা উত্তরা থেকে বেড়িবাঁধ হয়ে বিরুলিয়া ব্রিজ আসতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে আরকান বাজার ১০ টাকা শেয়ার লেগুনা/ অটোতে। আরকান বাজার থেকে সাদুল্লাপুর গ্রাম বা গোলাপ গ্রাম ১০ টাকা। সাভার থেকে আসতে চাইলে সাভার চৌরংগী মার্কেটের সামনে থেকে লেগুনা/মিনি বাস আসে আকরান বাজার।
কোথায় খাবেনঃ সাদুল্লাপুর বাজারেই কয়েকটি লোকাল হোটেল আছে। খাবার মান মুটামুটি।
কোথায় থাকবেনঃ যেহেতু এটি ডে ট্যুর তাই থাকার প্রয়োজন নেই। ঢাকার বাহিরে থেকে আসলে ঢাকা সিটিতে থাকার অনেক হোটেল আছে থাকতে পারেন।
ঘুরাঘুরির পারফেক্ট সময়ঃ ১২ মাসই ফুল ফুটে এবং নিড়িবিলী তাই যেকোনো সময় ভ্রমণের প্রথম লিস্টে থাকতেই পারে।
খোলা এবং বন্ধের সময়ঃ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করা যায়। সন্ধার পর না থাকাই ভালো।
পারকিং সূবিধাঃ আপনি গাড়ি বা মটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারবেন। বাগানের সামনেই রাখার ব্যবস্থা আছে মটর সাইকেল ১০ টাকা এবং গাড়ি ২০ টাকা করে রাখে। সময় নিরদিষ্ট নেই।
ট্যুর প্লানঃ দুপুরে ১ টায় মিরপুর অথবা উত্তরা থেকে লাঞ্চ করে চলে যেতে পারেন সাদুল্লাপুর। বিকাল টা কাটিয়ে সন্ধার আগেই রউনা দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারেন। বিকালে পুরাতন রাজবাড়ী ঘুরে দেখতে পারেন তবে মনে রাখবেন বাই রোডেই ক্যাবল রাজবাড়ি দেখা সম্ভব।