নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পর্যন্ত সিএনজি-অটোরিক্সা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ১০ জন চাঁদা আদায়কারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) শুরু করে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর ) পর্যন্ত ডিবি পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করেছে। তবে ধরা পড়েনি এর মূল হোতারা।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার জানান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন স্যারের নির্দেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ও সদরের বিভিন্ন স্থানে সিএনজি-অটোরিক্সা থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে আদায় করা নগদ টাকা, অবৈধ চাঁদার রশিদ জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আবদুর রহিম জানায়, তারা নেতাদের নির্দেশে সোনাপুর স্ট্যান্ড, মাইজদী ইসলামিয়া সড়ক মোড়, সুধারাম থানার সামনে, মাইজদী বাজার, বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা,বাণিজ্যিক এলাকা চৌমুহনী থেকে সিএনজি অটোরিক্সা প্রতি ১০ টাকা করে আদায় করছে এবং রাতেই নেতাদের কাছে রশিদ হিসাব করে টাকা বুঝিয়ে দিলে তারা ৩০০-৪০০ টাকা করে বেতন পান। এটা ছাড়াও রাস্তায় ৩ থেকে ৪ ভাবে চাঁদা আদায় করা হয়। এর মধ্যে পৌর টোল, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল, মালিক কল্যাণ তহবিল, হাইওয়ে পুলিশের চাঁদা অন্যতম।
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা হয়ে চৌমুহনীর করিমপুর সড়ক এবং পূর্ব বাজার পর্যন্ত ৫টি পয়েন্টে ১০ টাকা করে হিসাব করলে ১৬ হাজার সিএনজি থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা উঠে। মাসে এ চাঁদার টাকার পরিমান দাঁড়ায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ডিবির হাতে গ্রেফতারকৃত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাঁদা আদায়কারী জানায়, সোনাপুর, চৌমুহনী, মাইজদী বাজার এবং সুধারাম থানার সামনে থেকে আদায়কৃত টাকা রাতে ওই স্পটের নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আদায়কারীদের নির্ধারিত বেতন ধরিয়ে দিয়ে নেতারা লাখ লাখ টাকা খায়। সে আরো জানায়, এ চাঁদা তুলে নেতারা কোটিপতি হলেও তারা ডাল-ভাত খেয়েও সংসার চালাতে কষ্ট হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এসব চাঁদাবাজির খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি সব খোঁজ-খবর নিয়েই ডিবিকে অভিযানে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।