নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে নুরের নাহার (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূ ৩ সন্তানের জননী ও সাড়ে ৮ মাসের গর্ভবতী ছিল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে হাসপাতালের মালিক পক্ষ ও নিহতের স্বজনদের মধ্যে মারমুখি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হাসপাতালের সামনে এ্যাম্বুলেন্সে রাখা লাশ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রৌশন জাহান লাকীর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নার্স ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথেই প্রসূতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মৃত নুরের নাহার উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঠাডা আলা বাড়ির কামরুজ্জামানের স্ত্রী।
তবে ডা. রৌশন জাহান বলেন, ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হয়নি। বরং আমার চেয়ে বড় কোন ডাক্তার দিয়ে ঘটনার তদন্ত করলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি দাবি করেন।
বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল জলিল বলেন, হাসপাতালে রোগীকে সকাল ৮টার দিকে ভর্তি করা হয়ছে, এখানে তেমন কোন চিকিৎসা হয় নাই রোগীর। সেখানে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রশ্নই উঠেনা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। যেহেতু এ মৃত্যু নিয়ে নিহতের স্বজনেরা মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে তিনি জানান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ ব্যপারে বিস্তারিত জানা যাবে।