Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ বুধবার, ডিসেম্বার ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪০ PM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪০ PM

bdmorning Image Preview


স্বামীর সম্পত্তিতে নিজের ও সন্তানদের অধিকার চেয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোছা. আফিয়া বেগম নামের এক গৃহিনী। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরাণগাঁও গ্রামের মৃত আনোয়ার হুসেনের স্ত্রী।

সাংসারিক জীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের জননী। সংবাদ সম্মেলনে ২ কন্যা সন্তান ও ঋনের বুঝা মাথায় নিয়ে দুর্ভোগে থাকার কথা উল্লেখ করে এবং প্রতিপক্ষ কর্তৃক জোরপূর্বক তাদের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর আফিয়া বেগমের স্বামী আনোয়ার হুসেন মারা যান। স্বামীর চিকিৎসা করতে গিয়ে তাদের প্রায় ১২ লাখ টাকা ঋণ হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর ফরিদার ভাসুর আহমদ আলী (৫০), দেবর ফারুক আহমদ (৪৫), ভাসুর পুত্র রাজেদুর রহমান বকুল (২৭) ও হাবিবুর রহমান (২৫) গংরা ‘আনোয়ার হুসেনের খরিদা জমি, আফিয়া বেগম বা তাদের মেয়েদের নামে খরিদা জমি এমনকি আফিয়া বেগমের কাবিনের জমি এবং আফিয়া বেগমের স্বামীর আনোয়ার হুসেনের এজমালী সম্পত্তির’ অংশ থেকে ‘আফিয়া বেগম ও তার মেয়েদেরকে’ বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু করে। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত ও এলাকার মুরব্বীরা কয়েক দফা সালিশ বৈঠক করেন। কিন্তু তারা (আহমদ-ফারুক-বকুল-হাবিবুর গংরা) সালিশ বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মান্য করে না। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত ও এলাকার মুরব্বীরা আফিয়া বেগমকে নিজের মতো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে তার (আফিয়া) সাথে থাকার কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, দুই কন্যা ও ঋণের বোঝা নিয়ে বর্তমানে আফিয়া বেগম খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন। পারিবারিক দুর্ভোগ লাগবের জন্য তিনি নিজের নামীয় বা কাবিনের জায়গা বিক্রি করতে চাইলে তার ভাসুর-দেবর-ভাসুর পুত্ররা তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং জমি ক্রয় করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে বাঁধা প্রদান করে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের লোকজন আফিয়া গংদের ঘরে প্রবেশ করে তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে শারীরিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আফিয়া। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন অত্যান্ত প্রভাবশালী হওয়ায় বিয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেয়। এরপর থেকে অভিযুক্তরা প্রায়ই আফিয়া বেগমের টিনসেডের ঘরের বেড়া ও চালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে তিনি নিজের প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে নিয়ে অসহায়ন্তের মধ্যে জীবন-যাপন করছেন।

সর্বশেষ গত ১৬ নভেম্বর অভিযুক্তরা ফরিদাকে তার জমিতে ধান কাটার লোক পাঠালে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বকভাবে তাদের জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। তাই কুচক্রী মহলের কাছ থেকে আফিয়া বেগম ও তার মেয়েদের সম্পত্তি রক্ষা ও প্রতিপক্ষের অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

Bootstrap Image Preview