'জাতির প্রতিটি ইতিহাসে জাতীয় প্রেসক্লাব জড়িয়ে আছে', বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার ২০ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিত্বের প্রতীকবাহী সকল স্থাপনায় পাক-হানাদারেরা নৃশংস হামলা চালিয়েছিলো। জাতীয় প্রেসক্লাবও সে হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
মন্ত্রী এসময় ৬৫ বছরের জাতীয় প্রেসক্লাবের সকল নেতা ও সদস্যবৃন্দ জাতিগঠনে যে অবদান রেখেছেন তা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ ও প্রয়াত সকল সাংবাদিকের আত্মার শান্তি কামন করে বলেন, 'এদেশের সকল ইতিহাসের সাথে জাতীয় প্রেসক্লাব জড়িয়ে আছে। আশা করি, আগামী দিনেও জাতীয় প্রেসক্লাব তার এ অনন্য ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবে।'
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ৬৫ অঙ্কিত কেক কাটেন। কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর ও সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিকও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা মানবিকভাবে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে চাই। এজন্য যে মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের বিকাশ প্রয়োজন, গণমাধ্যমের ভূমিকা সেখানে অপরিহার্য। গণমাধ্যম জাতির দর্পণ আর সে দর্পণের স্বচ্ছতা রক্ষার দায়িত্বও সাংবাদিকবৃন্দের।
বক্তৃতাপর্ব শেষে লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তী ফরিদা ইয়াসমিন এবং আধুনিক গানের শিল্পী রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা প্রমুখের সঙ্গীতের মূর্ছনায় মেতে ওঠে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ।