নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা ৩নং ডুমুরিয়া ইউনিয়ন বড়ুয়া পাড়ায় চলছে ভন্ড কবিরাজদের মারাত্মক কুফরী কালাম নামক রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন, দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য নারী এবং পুরুষ।
তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরছেন বড়ুয়া পাড়া কবিরাজের কাছে।অসংখ্য কারণে তাবিজ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো-
কারো বিয়ে হচ্ছে না স্বামী লাভের আশায়, কারো সন্তান হচ্ছে না, সন্তান লাভের আশায়। কেউ স্বামীকে আপোষ করতে চান, একান্ত নিজের করে নেওয়ার জন্য। কেউ শত্রুকে দমন বা ক্ষতি সাধন করতে চান, কেউ শ্বশুর মশাইকে আপোষ করতে চান।
কেউ আসেন শত্রুকে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য মেয়াদ ভিত্তিক নষ্ট তাবিজ নিতে। জানা-অজানা আরও অসংখ্য কারণ।
বড়ুয়া পাড়া কবিরাজ হিসেবে যারা মারাত্মক এই দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছেন তারা হলেন, ভন্ড খড়কন্ড প্রকাশ টুক্কা কবিরাজ অন্যতম, টুক্কার মেয়ের জামাতা সেন্টু কবিরাজ প্রকাশ পরেশ এবং নাম না জানা আরও অনেকেই।
এগুলো করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন অগণিত অর্থ, গড়ছেন পাহাড় সম দালানকোঠা এবং ব্যাংক ব্যালেন্স।
ছদ্মেবেশে প্রতিবেদক ভন্ড কবিরাজের দাওয়াখানায় হাজিরা দিতে ১০১ টাকা দিয়ে প্রবেশ করলে শুরু হয় তাদের মানুষ ঠকানোর কবিরাজি, ধাপ্পাবাজ। দুই থেকে তিন মাসের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যেকোনো সমস্যা সমাধানের গ্যারান্টি দেন।
আর এই সময় সীমার ভিতরেই এক একটা সমস্যা এক একটা জরুরী বিষয়ে সাক্ষাৎ নেন। আনুষাঙ্গিক আরও অনেক কারণ দেখিয়ে, হাতিয়ে নিচ্ছেন নারী এবং পুরুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা।
অথচ আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের হুকুমে তাদের চাওয়াটা যখন পাওয়ায় পরিণত হয়ে যায়,তখনই কবিরাজের হয়ে যায় বাজিমাত। আর তারা এভাবেই বিশ্বাস করে নেন যে কবিরাজের উছিলায় আমাদের সমস্যা সমাধান হয়েছে।
আর এই একটা প্রচারের কারণে তার চৌদ্দগুষ্টি কবিরাজের দরবারে হামাগুড়ি খান। তখন কবিরাজের আর দোষ কি! লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে? পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কোরআনের শব্দগুলোকে বিকৃত করে তারা এই অপকর্ম করছেন।এবং মুসলিম নারী গুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছেন।
দাওয়াখানায় নারী উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। কবিরাজের কাছে একটি নারীর উপস্থিতি মানেই একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাওয়া। এই কবিরাজ গুলোর চাইতে মারাত্মক অপরাধী সমাজে দ্বিতীয়টা নাই। বড়ুয়া পাড়া সংলগ্ন বাজারের কিছু সংখ্যক লেবেল দারি সমাজপতি এখান থেকে লোক চক্ষুর আড়ালে চাঁদা নিয়ে যান।
এ বিষয়টি সেনবাগ থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি বলেন, আভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা মিললে আইনানুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।