নায়িকা শাবনূর মারা গেছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে খ্যাতিমান এই নায়িকার মৃত্যুর খবর। এর আগে বছর দুয়েক আগে গুজব ছড়িয়ে ছিল নব্বই পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর এক ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
হঠাৎ এমন উড়ো খবরে আতঙ্কিত ঢাকার সিনেপাড়া। স্নিগ্ধ চেহারা, মায়াবী হাসি, চিরায়ত বাঙালি নারীর মধুমাখা চাহনির অধিকারী এই নায়িকা বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন।
শাবনূরের প্রিয়ভাজন নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক জানান, শাবনূর সুস্থ আছেন।
নায়িকার ছোট বোন ঝুমুরের বরাতে মানিক জানান, শাবনূরের মৃত্যুর খবরটি মিথ্যে। এমন গুজব রটনাকারীদের ওপর চটেছেন শাবনূরের পরিবার।
ঝুমুর বলেন, ‘কিছুদিন পর পর বিভিন্ন শিল্পীদের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করে আমার জানা নেই। শাবনূর আপার কিছুই হয়নি। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন, বেঁচে আছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেই আছেন তিনি। শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরবেন। কেউ দুশ্চিন্তা করবেন না। আর দয়া করে এমন গুজব ছড়াবেন না কেউ।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন শাবনূর। তার পর্দার পেছনের নাম নুপুর। প্রথম চলচ্চিত্র কিংবদন্তি পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর ‘চাঁদনী রাতে’ মুক্তি পায়। সাব্বিরের বিপরীতে অভিনীত চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়।
তবে শাবনূরের মুগ্ধতার ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ ছবিটি দিয়ে। সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই নায়িকা ১৪টি ছবি করেন। তার সবগুলোই রেকর্ড সংখ্যকভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সফল জুটিগুলোর অন্যতম। বলা হয়ে থাকে সালমান-শাবনূর জুটি ইন্ডাস্ট্রির মিথ।