চুয়াডাঙার আলমডাঙ্গা উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র আবির হোসাইনকে (১১) মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার আগে বলাৎকার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) লাশটি ময়নদন্তের প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুর রহমান।
গতকাল বুধবার কয়রাডাঙার নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হোসাইনের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কয়রাডাঙা গ্রামের মশিউর রহমানের পুকুর থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবির ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। ছয় মাস আগে সে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়।
এসপি মাহবুবুর রহমান আজ বলেন, ‘গতকাল ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে যে শিশুটিকে হত্যার আগে বলাৎকার করা হয়েছে। তাকে দীর্ঘদিন ধরেই পাশবিক নির্যাতন করা হতো।
এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার মোহতামিম আবু হানিফসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে কেউ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেনি।
গতকাল বুধবার আবিরের লাশটি উদ্ধারের পর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। ঢাকা থেকে র্যাবের ডগ স্কোয়াড বেলা সাড়ে তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ফিরে যায়। তবে আজ পুনরায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে মাথাটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বুধবার আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে