খুলনায় বাবাকে খুনের করে মেয়েকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংক কর্মকর্তা পারভিনের বাড়িতে গিয়ে তার বৃদ্ধ বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর পাঁচজন পারভীনকে গণধর্ষণ করে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনা নগরীর লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই মো. শরিফুল (২৭), মো. আবুল কালামের ছেলে মো. লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে মো. আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে হত্যার ঘটনার পর থেকেই আসামি শরিফুল পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথে এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে উত্ত্যক্ত করতো আসামিরা। উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তারা ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পারভিনের বাড়িতে গিয়ে তার বৃদ্ধ বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর পাঁচজন পারভীনকে গণধর্ষণ করে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। পরে তারা সেই ঘরের টাকা পয়সা ও স্বর্নালঙ্কার লুটে করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদী হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর লবণচরা থানায় হত্যা ও ২২ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।