বিয়ের আট মাসের মাথায় প্রবাসী স্বামীকে রেখে আরেক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান এক গৃহবধূ। এরপর পালিয়ে ওই যুবককে বিয়ে করেন। এদিকে গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাবনা থেকে উদ্ধার করে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের পর জানতে পারে তিনি আরেক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে সংসার করছেন। গত শনিবার পুলিশ ওই গৃহবধূ এবং যুবককে উদ্ধার করে চাটখিল থানায় নিয়ে আসে। এর আগে ১৬ জুন সকালে নোয়াখালীর চাটখিল থেকে নিখোঁজ হন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে উম্মে হানি বিথির (১৮) সঙ্গে আট মাস আগে বিয়ে হয় লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দুবাই প্রবাসী সাফায়েত হোসেনের। বিয়ের মাস খানেক পরে সাফায়েত দুবাই চলে যান। এরই মধ্যে মুঠোফোনে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বুনাই নগর গ্রামের ফজলে রাব্বির (২২) সঙ্গে পরিচয় হয় বিথির। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এই সম্পর্কের জের ধরে গত ১৬ জুন রাতে ফজলে রাব্বি উম্মে হানি বিথির সঙ্গে দেখা করতে আসেন চাটখিলে। এরপর ওই রাতেই তারা পালিয়ে প্রথমে ঢাকা এবং পরের দিন পাবনার ফরিদপুরে চলে যান। ১৭ জুন ৭০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিথির সঙ্গে ফজলে রাব্বির বিয়ে হয়। জিডির সূত্র ধরে ও মুঠোফোনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ গত শুক্রবার সকালে ফজলে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে বিথি ও ফজলে রাব্বিকে আটক করে। পরে শনিবার সকালে তাদেরকে চাটখিল থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে বিথির অভিযোগ, ফজলে রাব্বি মুঠোফোনে তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় অজান্তে আপত্তিকর কিছু ছবি তুলে ও ভিডিও কল রেকর্ড করে রাখে। ফজলে রাব্বি ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিথির সঙ্গে দেখা করে। এরপর তার সঙ্গে যেতে বাধ্য করেন। পরে তাকে ৭০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাকে একাধিকবার রাব্বি মারধর করেছে বলেও জানান বিথি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলে রাব্বি বলেন, ‘বিথি স্বেচ্ছায় তাদের বাড়ি থেকে চাটখিল এসে আমার সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। সে নিজেই আমাকে চাটখিল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। এরপর আমি ঢাকা থেকে চাটখিল এসেছিলাম।’
এ দিকে বিথির প্রবাসী স্বামী ও তার পরিবার বিথিকে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন।