Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নরসিংদিতে লটকনের বাম্পার ফলনে লাভবান কৃষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০১৯, ১২:৫৭ PM
আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯, ১২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


নরসিংদির বেলাব উপজেলায় এবার লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। লটকনের বাজার দরও এবার বেশ ভাল। এলাকার শত শত কৃষক লটকন চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।

জমিতে লটকন চাষে খরচ খুব কম কিন্ত মুনাফা অনেক বেশী। কৃষকরা জানায়, লটকন চাষ করে যে মুনাফা পাওয়া যায় অন্য ফসল চাষে তার অর্ধেক মুনাফাও আসেনা। একারণে বেলাব উপজেলায় দিন দিন লটকন চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকদের কাছে লটকন এখন অর্থকরি ফসল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে ।

লটকন চাষের জন্য এই এলাকার মাটি খুবই উপযোগী। বেলাব এলাকার উৎপাদিত লটকন এখন শুধু দেশেই বাজারজাত হয়না, সূদুর মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপে রফতানি হচ্ছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিসার। এছাড়া দেশের রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় যাচ্ছে লটকন। লটকন চাষে এলাকায় প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস। জানা গেছে, কয়েক যুগ আগে বেলাবতে লটকন চাষ শুরু হয়। তখন হাতেগুনা কয়েকজন কৃষক লটকন চাষ শুরু করলেও এখন প্রায় কয়েকশ লটকন বাগান রয়েছে। এবার ৬০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ টি লটকন চারা রোপন করা যায়। চারা লাগানোর তিন বছর পর থেকে ফল দেওয়া শুরু করে।

একটি পুর্ণ বয়স্ক লটকন গাছে ৫/৬ মন লটকন হয়। প্রতিমণ লটকন বাজার দর ২/৩ হাজার টাকা। এতে বিঘা প্রতি লটকনের বিক্রি আসে প্রায় ৪ লাখ টাকা। বিঘা প্রতি ব্যয় হয় ৭০/৮০ হাজার টাকা। এতে এক বিঘা জমিতে লটকন চাষ করে ৩ লাখ টাকার বেশী মুনাফা আসে কৃষকের। বেলাব এলাকার কৃষক হাজী আওয়াল মিয়া এবার ৫ বিঘা জমিতে লটকন চাষ করে প্রায় ১৪ লাখ টাকা আয় করেছে বলে জানান তিনি।

বেলাব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিমউর রউফ খাঁন জানান, লটকন চাষে খরচ খুবই কম এবং মুনাফা অনেক বেশী। সুস্বাধু ফল হিসেবে লটকন এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি লটকন চাষ হয়। তবে বাগানের সংখ্যা অসংখ্য। এলাকার অনেক কৃষক লটকন চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। লটকন শুধু দেশেই নয় এখন বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Bootstrap Image Preview