নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আহমেদ মিশন (২৬), নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সে মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ’র নতুন বাড়ির এরফানের ছেলে।
উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১২জুন) রাতে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানায় যাহার মামলা নং-১১।
মামলার এজহার বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষিকা মুছাপুর ইউপির ভাড়া বাসায় থাকেন। ৪ বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে মুছাপুর ৫নং ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ’র নতুন বাড়ির মো. এরফানের ছেলে আহমেদ মিশন (২৬), সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা গত ৪ বছরে গভীর থেকে গভীরতর হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব করে, রাজি না হওয়ায় সে অশোভন আচরণ করে। পরে ওই শিক্ষিকা তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলে সে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার ক্ষতি করার সুযোগ সন্ধানে থাকে। সর্বশেষ (১১ জুন) প্রচন্ড গরমে দরজা খোলা রেখে ওই শিক্ষিকা ভাড়া বাসায় বিশ্রাম নেওয়া অবস্থায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা অথবা বিচার প্রার্থী হলে ওই শিক্ষিাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত প্রবাসী যুবক।