বুকে কফ জমা, বিশেষ করে রাতের বেলা, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, বুকে ব্যথা, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, সাইনোসাইটিস, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, কোল্ড অ্যালার্জি, আঙুলের মাথাগুলো নীলাভ হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, ডাস্ট অ্যালার্জি, বুকে কোনো কিছু চেপে বসে আছে বলে মনে হওয়া এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া সমস্যা নিরাময়ে ভেষজ চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ থাকা যায়।
এ ক্ষেত্রে অ্যাজমা রোগীর জন্য আদা, দারুচিনি, তেজপাতা, তুলসী, বাসক, যষ্টিমধু, তালমিছরি, পিপল, মধু ইত্যাদি খুবই কার্যকর। এ ছাড়া গরম খাবার এবং গরম চা অ্যাজমা রোগীর জন্য উপকারী। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, জন্মগত বা বংশগত ত্রুটি, হাইপারটেনশন, হাইপারকোলেস্টেরলেমিয়া ইত্যাদির কারণে হৃদরোগ হয়ে থাকে।
হৃদরোগের উপসর্গ হলো-বুকে ব্যথা (মনে হবে কেউ সুচালো সুই দিয়ে হৃৎপি-ে খোঁচাচ্ছে), নাড়ির গতি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা, শরীরের রঙ ধূসর বা নীলাভ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন।
এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, জলজ উদ্ভিদ, বাদাম, কালোজিরার তেল, জয়তুন তেল, সূর্যমুখীর তেল, অর্জুন ছাল, ডালিম, সয়াপ্রোটিন, স্ট্রবেরি, গোলাপ ইত্যাদি হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকারী। গুরুপাক জাতীয় খাবার (বিরিয়ানি, টিকিয়া, কাবাব, ফাস্টফুড), লাল মাংস, কলিজা, চিংড়ি, ইলিশ মাছ ইত্যাদি খাদ্য শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এগুলো পরিত্যাজ্য।