‘প্রেম’ যেকোনো মানুষের জন্য এক অন্যরকম অনুভুতি। আর সেটা যদি হয় ‘প্রথম প্রেম’, তা হলে তো কোনো কথাই নেই। ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপির জীবনে ঘটেছে এমন ঘটনা। বিয়ে না করলেও প্রেমের বহু প্রস্তাব পেয়েছেন এই সুদর্শনী নায়িকা। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জীবনের প্রথম প্রেমের গল্প শুনালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা পপি।
পপি জমিদার বংশের মেয়ে। এ ধরনের পরিবারের মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দেয়া সাহসের ব্যাপার। তবু সাহস করে ছোটকালেই অনেকে প্রেম প্রস্তাব করেছেন। এক প্রেমিককে তো প্রেম নিবেদনের শাস্তিস্বরূপ মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছিল।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়। স্কুলে যাওয়ার সময় এই প্রস্তাব দেন গ্রামের এক যুবক।
এ বিষয়ে পপি জানান, ‘একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে একটি ছেলে হুট করে আমার পথ আটকে দেয়। হাতে একটি চিঠি নিয়ে, সে ছেলেটি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি কখনও পড়িনি। তাই অনেকটা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম। এর পর ছেলেটি আমার হাতে সে চিঠিটা পুরে দিয়ে উত্তরের অপেক্ষায় থাকে। ফেরার পথে আমি যেন এর উত্তর দিই, বলে ছেলেটি সেখান থেকে চলে যায়।’
আচমকা প্রেম প্রস্তাব পেয়ে অবাক হন এ নায়িকা। কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। এর পর কান্না শুরু করেন। কাঁদতে কাঁদতে ক্লাসে ডুকেন। ক্লাসের বান্ধবীরাও জানতে চায়, কি হয়েছে? কান্নার কারণে কিছুই বলতে পারছিলেন না পপি।
শিক্ষকরাও ছুটে আসেন। জানতে চায় কি হয়েছে? পুরো ঘটনাটা তাদের জানালেন পপি। স্কুল ছুটির পর পপি একা বাসায় ফেরার পথে পথ আটকায় ওই ছেলে। পর দিন শিক্ষকরা বাসায় পৌঁছে দেয় পপিকে। এদিন ওই যুবক ফের প্রেম প্রস্তাবের উত্তরের আশায় পথ আটকায়। তখন পপির শিক্ষক, বাবা, মা সবাই যুবকটিকে ঘিরে ফেলে। বিচারে ছেলেটির চুল কেটে দেয়া হয়েছিল।