ভেনেজুয়েলায় চলমান বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। এরপর দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনের মধ্যেই গত ৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ভেনেজুয়েলার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ডের মতো বিষয়গুলোও ব্যবহার করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বেইজিংয়ে লু ক্যাং বলেন, ‘চীন আশা করছে যে ভেনেজুয়েলানরা এই ঘটনার কারণ উদঘাটন করে দ্রুতই সমস্যার সমাধান করবে। আর ভেনেজুয়েলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনর্গঠনে কারিগরী সহায়তা করতে প্রস্তুত চীন। তবে এই সহায়তার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে ভেনেজুয়েলায় বাড়ছে লুটপাটের মতো ঘটনা। বন্ধ হয়ে গেছে সুপার মার্কেটগুলো। সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে নিজেদের হতাশার কথা জানিয়েছেন দেশটির নাগরিকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার দেশজুড়ে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গুইদো’র দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করেছেন গুইদো। তার দাবি, টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দেশের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।