ভেনিজুয়েলায় চলমান অচলাবস্থায় দেশটিতে থাকা নিজেদের সব কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার বলেছেন, ভেনিজুয়েলায় চলমান সংকটের কারণে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনীতিককে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
সে দেশের দূতাবাসে মার্কিন কর্মকর্তা থাকলে তা মার্কিন নীতির প্রতিবন্ধকতা হিসেবেও বলা হয়েছে ঘোষণায়।
জানুয়ারি থেকেই ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাস থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে চলমান আন্দোলনে বিরোধীদলীয় নেতা গুয়ান গুইদোর সমর্থনেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে মার্কিন কূটনীতিকদের ভেনিজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
এদিকে ৭ মার্চ থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যায় (ইলেকট্রিসিটি ব্ল্যাক আউট) রয়েছেন ভেনিজুয়েলাবাসী। ব্ল্যাক আউটের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো।
এসব হত্যায় মাদুরোকে ‘খুনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গুইদো। তবে এ নাশকতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
ভেনিজুয়েলায় বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও বিরোধী দলের হুয়ান গুইদোর মধ্যে আন্দোলন চলছে। গত ২৩ জানুয়ারি গুইদো নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিলে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ প্রায় ৫০ দেশ তাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে রাশিয়া, চীনসহ কিছু দেশ এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পাশেই রয়েছে।