প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে 'অমর একুশে বইমেলা'। মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আজ রবিবার বিকেল ৩টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় প্রতিদিন নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। চলবে আলোচনা সভাও। এ ছাড়া ১১ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্র উৎসব, ১২ ফেব্রুয়ারি নজরুল উৎসব, ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ উৎসব, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাহিত্য-ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় জীবনে যেসব ব্যক্তি কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদেরকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হবে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে। এ ছাড়া রম্য বিতর্ক, পাঠক সমাবেশ, সাহিত্য আড্ডা, সাধারণ নৃত্য, লোক নৃত্য, আবৃত্তি, হামদ-নাত, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশের গান, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকরা জানান, বইমেলা ঘিরে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। বইমেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। তবে ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। এবারের মেলার আয়তন প্রায় ৮০ হাজার ৩০০ বর্গফুট। স্টল থাকছে ১১০টি। এর মধ্যে ঢাকার প্রকাশকদের জন্য ৬০টি এবং চট্টগ্রামের প্রকাশকদের স্টল থাকছে ৫০টি।
এদিকে ,আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার বলেন, 'গত বছর প্রায় চার হাজার নতুন বই প্রকাশ হয়েছে বইমেলায় ৷ এবার আশা করছি আরো বাড়বে এবং তা সাড়ে চার হাজার হতে পারে৷ বইমেলাকে কেন্দ্র করেই মূলত বাংলাদেশে সৃজনশীল বই প্রকাশ হয়৷ এবং তার সংখ্যা ৯০ ভাগেরও বেশি৷ বইমেলার এক মাসে বই প্রকাশ হয় চার হাজার আর সারা বছরে হয় পাঁচশ'৷ তাই সহজেই বোঝা যায়, বইমেলা নতুন বই প্রকাশের জন্য কতটা গরুত্বপূর্ণ৷'
তবে তিনি মনে করেন, ‘বইয়ের সংখ্যা বাড়াই যথেষ্ট নয়, এর মান বাড়াও জরুরি৷ এ জন্য প্রকাশকদের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে৷ মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করতে সরকারকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দিতে হবে৷ বইমেলায় প্রকাশিত নতুন বইয়ের ৩০ ভাগ নবীন লেখকদের৷ সরকার উদ্যোগ নিলে প্রতিভাবান তরুণ লেখকদের বই আরো বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।'