ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, কোনোভাবেই সেটিকে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা, খাওয়া-দাওয়া ও ওষুধ খেলেই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো ডায়াবেটিস সম্পর্কে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা রোগ এবং রোগীর সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক, ডায়াবেটিস সম্পর্কে পাঁচটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা যা মোটেই সঠিক নয়।
১. ডায়াবেটিস ধরা পড়লে স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না, এমনটাই ধারণা বেশিরভাগ মানুষের। তবে বাস্তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাবার। তাই কখনোই শর্করা জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
২. বেশিরভাগ মানুষেরই এটা ধারণা যে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মিষ্টি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বাস্তবে এ ধারণা মোটেই সঠিক নয়। কারণ নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিষ্টি সকলেই খেতে পারেন। বরং চিকিত্সকদের মতে, শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই নয়, বেশি মিষ্টি খাওয়া যেকোনো মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর।
৩. ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কখনোই রক্তদান করতে পারেন না, এমনটাই ধারণা বেশিরভাগ মানুষের। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ শুধু যারা নিয়মিত ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন, তারাই শুধু রক্তদান করতে পারেন না। বাকিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে রক্তদানে কোনো সমস্যা নেই।
৪. অনেকেই মনে করেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সবসময় উচিত খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখে যতটা সম্ভব কম পরিশ্রম করা। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ নিয়ম মেনে চললে আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিকরাও বাকিদের মতোই স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারেন।
৫. অনেকেই মনে করেন, চিকিত্সক ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মানেই রোগী মোটেও নিয়ম মেনে চলছেন না। বাস্তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা দ্রুত কমে যায়। ফলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও একটা সময়ের পর ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।