এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি মো: মাইজ উদ্দিনের ৩য় বই ‘The Eden of English Poetry’। বইটি প্রকাশ করেছে বিভাস প্রকাশনী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী চলা গ্রন্থমেলার বিভাস প্রকাশনীর ৫৭৪-৭৫ স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
বইটির বেশিভাগ জায়গা জুড়ে প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিষয়ের কবিতা থাকলেও তরুণদের নিয়েও কয়েকটি কবিতা রয়েছে। এতে তরুণদের বিভিন্ন উপদেশমূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
‘the Eden of English Poetry’ বইয়ে কবি মো: মাইজ উদ্দিন বলেন, কবিতা হচ্ছে মানুষিক চিন্তাধারার অনুভুতি। এটি প্রাকৃতিক এবং কিছু অপ্রাকৃতিক অসারত্তের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আমি আশা করি এই বার্তাটি ঐসব শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করবে, বিশেষ করে যারা ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা ইংরেজী সাহিত্য চর্চা থেকে সরে আসতে পারি না, বরং ইংরেজি সাহিত্য আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন জ্ঞানের মাত্রা যোগ করে।
‘মো: মাইজ উদ্দিন’ যার প্রসংসা করতে ভুলেননি ইংল্যান্ড এর ২য় রানি এলিজাবেথ, তিনি মাইজ উদ্দিনকে পত্রের মাধ্যমে তার সাহিত্যের প্রসংশা করেছেন।
সাহিত্য চর্চা ছিল তার বাল্যকালের আগ্রহ। তার প্রমাণ রাখেন স্কুল জীবনে। সে সময় মাইজ উদ্দিন স্কুলের ম্যাগাজিনে লেখালেখি করতেন, নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ছয় লাইনের একটি ইংরেজি কবিতা লিখলে শিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাস সে কবিতার প্রসংসা করেন এবং তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। এর পর থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনযোগ দেন।
মাইজ উদ্দিন নেত্রোকোনা জেলার আতপারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা সি এন এন বিস্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক প্রভাষক। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। এখানেও তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন বই ও ম্যাগাজিনে লিখেন। পাশাপাশি তিনি নিউ নেশন, ডেইলি অবজারভার, দৈনিক ডেইলি পত্রিকায় কলাম লিখেন। এতে রাজনৈতিক বিষয় তুলনামূলক কম থাকলেও সোশ্যাল, ইকনোমি ও লিটারেচার নিয়ে বেশি লিখেন। এছাড়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ও একটি কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডাঃ আতিউর রহমান তার সাহিত্যকে আরোও প্রসিদ্ধ করেছিলেন, যার ফলে সেই সাহিত্যগুলোকে প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য পাঠ্যপুস্তক বই হিসেবে গন্য করা হয়।