সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা নিছক বই প্রকাশের মেলা নয়। এটি ইতিহাস-ঐতিহ্যের মেলা।
আজ বিকাল ৩টা ৮ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়। মেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বইমেলা নিছক বই বেচা কেনার জায়গা নয় এটি আমাদের সংস্কৃতির চেতনা প্রকাশের জায়গা।
কে. এম. খালিদ বলেন, একুশ আমাদের অহংকারের মাস। একুশ আমাদের জন্য গৌরবজনক অধ্যায়। হাজার ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পর ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এই পথ ধরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছিলাম স্বাধীনতা বাঙালি। বাঙালির নবজন্মের মাস ছিল ২১ ফেব্রুয়ারি।
তিনি বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী চেতনা সৃষ্টিতে সাহায্য করেছে ২১ শে মেলার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। শুধু বই বেচাকেনার জায়গায় নয় এই মেলা হচ্ছে লেখক-পাঠক সাহিত্যিকদের মিলন মেলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী এ গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে তিনি মেলা পরিদর্শন করবেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ওপার বাংলার কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা
এবার মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশের পরিসর ৩ লাখ বর্গফুট। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ৪টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। বইমেলাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি গতকাল বলেন, বইমেলায় আগত সবাইকে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, ফুট পেট্রোলিং ব্যবস্থা, পোশাকধারী পুলিশের অবস্থান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও আইএডি শাখার সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রবেশ ও বাহিরে মূল ২টিসহ ৯ পথ
মেলায় প্রবেশ ও বাহিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও দোয়েল চত্বর উভয় দিকে প্রতিবারের মতো দুটি মূল প্রবেশপথ থাকবে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ ও বাহিরে তিনটি পথ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের মোট ছয়টি পথ থাকবে। আর বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
গ্রন্থমেলার সময়সূচি
মাসব্যাপী বইমেলার ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেলা চলবে।
বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছাড়াও মেলা স্পনসর প্রতিষ্ঠান বিকাশের সিএমও মীর সওগত আলী, নিরাপদ মিডিয়া ও কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলা একাডেমির সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।