দেশের প্রথম সারির নাট্যদল নাগরিক নাট্যাঙ্গন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলা নাট্যান্দোলনের অন্যতম অবিসংবাদিত কান্ডারী ড. ইনামুল হক এর এ অনবদ্য সৃষ্টি ‘বাংলা আমার বাংলা’। দেশের গণ্ডী পেরিয়ে মুগ্ধতায় জড়িয়ে নিয়েছে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ কানাডা-আমেরিকার দর্শকদের।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক-স্বাধীনতার মহান স্থপতি-সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী-জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে ড. ইনামুল হক এর রচিত দেশের প্রথম নাটক; 'বাংলা আমার বাংলা’।
নাগরিক নাট্যাঙ্গন প্রযোজিত 'বাংলা আমার বাংলা'
সৃষ্টিশীল নাটকটিকে নির্দেশনার মাধ্যমে মঞ্চরূপ দিয়েছেন ষড়ৈশ্বর্য লাকী ইনাম। দেশে ব্যাপক দর্শকনন্দিত এই নাটকটি হারমোনি (কালচারাল রিসার্চ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ফোরাম) এর প্রযোজনায় ড. ওমর ফারুক এর নির্দেশনায় দেশের বাইরেও নিয়মিত মঞ্চায়িত হচ্ছে।
দেশে ব্যাপক দর্শক নন্দিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ নাটকটি, দেশের বাইরেও সমান দর্শক প্রিয়তা পেয়েছে। নাটকটি প্রথমে কানাডার উইন্ডসর, তারপর আমেরিকার মিশিগান এবং এবার নতুন বছরের শুরুতেই গত ৫ জানুয়ারী ২০১৯ ‘বাংলা আমার বাংলা’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন হলো আমেরিকার ওহাইও শহরের ডাবলিন কমিউনিটি সেন্টারের ‘আবি থিয়েটার হলে’।
নাগরিক নাট্যাঙ্গন প্রযোজিত 'বাংলা আমার বাংলা'
নাটকটির মাধ্যমে ১৯৭১ এ স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর এ জাতির উপর ঘটে যাওয়া অবর্ণনীয় বর্বর নির্যাতনের কথা বলা অনিরুদ্ধ আবেগের কথা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত স্বাধীনতাকামী অদম্য তরুণ-তরূণীর জীবন বাজি রাখা শপথ, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অমানবিক অত্যাচারকে উপেক্ষা, মৃত্যূকে বন্ধু করে নেয়ার বাস্তবচিত্র উঠে এসেছে।
হারমোনি প্রযোজিত 'বাংলা আমার বাংলা'
বাইরে মঞ্চায়িত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আমারা জামান, ড. মুন্তাজির রহমান, লিসা জামান, প্রসেনজিৎ পাল, আফরোজা মিতু, সামসুল আলম সরকার, সুমন সেনগুপ্ত, ড. রনি রয়; এছাড়াও আছে শিশু শিল্পী আমরা, মৌরিন, অর্নেলা, আনিবা ও গুনগুন। নৃত্যভঙ্গি নির্দেশনা দিয়েছেন লিজা রয়, ধারাবর্ণনা করেছেন পুতুল সাহা, কারিগরি নির্দেশনা দিয়েছেন মুন্তাসির নাসির সৈকত এবং আলোক নির্দেশনা দিয়েছেন ড. ওমর ফারুক।