বর্তমানে বিশ্বে দিনে দিনে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আর সেটা পুরুষ হোক বা নারী। যদিও আমরা সকলেই আমাদের শরীরে ধূমপান কী ক্ষতি করে তা জানি। তবে নারীদের ক্ষেত্রে আরো কয়েক ধরনের ক্ষতি করে সেটি হয় অনেকেই জানেন না। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, নারীদের মধ্যে সিগারেটে আসক্তির মাত্রা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা অনেক বেশি ভীতিকর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আমেরিকান কলেজ অফ অবস্ট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজিস্টের এক তথ্যে জানিয়েছেন, ধূমপানের জন্য নারী ও পুরুষ সকলে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নারীদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও যে সকল নারীরা ধূমপান করেন তাদের অন্য নারীদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি সম্ভাবনা থাকে ক্যান্সারের।
বয়সের প্রভাব ফেলে
যদি কেহ দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করে সেসব নারীদের চামড়া খুব কম বয়সেই কুঁকড়ে যায়। এমন কি মাসিক বয়সের আগেই হয়ে যায়। নিকোটিনের কারণে ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে।
হার্টের ক্ষতি
ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তথ্য মতে, ধূমপানে আসক্ত নারীদের ৬ গুণ বেশি সম্ভাবনা রয়েছে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার।
ঋতুস্রাবের তারিখে অনিয়ম
যেসব নারীরা ধূমপান করেন তাদের মাসিক বা ঋতুচক্র স্বাভাবিক থাকে না। অস্বাভাবিক ঋতুচক্রের প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। নারীদের ধূমপান সন্তানধারণের প্রতিটি স্তরে সমস্যা ডেকে আনে এবং বন্ধ্যাত্বর সমস্যাও হয়।
ভ্রূণের ক্ষতি
সিগারেট থেকে উৎপন্ন কার্বন মনো-অক্সাইড শরীরে গেলে ভ্রূণ টিসুর ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়। এর ফলে ভ্রূণের হার্টরেট বেড়ে যায়। এছাড়াও প্রায় ৩৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক শিশুর জন্মের পর ওজন স্বাভাবিক থাকে না। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় ধূমপান করলে শিশুর জন্মের পর মাতৃদুগ্ধে নিকোটিন চলে আসে। যা পরবর্তীকালে শিশুর জন্য ক্ষতিকর।