আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকগুলো দল একত্রিত হয়ে ঐক্যফ্রন্ট করে নির্বাচন গেছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের সরকার প্রধান কে হবেন এখন পর্যন্ত তারা এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, না রাজাকার-আলবদর নেতা, না একুশে গ্রেনেড হামলার আসামি-কে হবেন তাদের সরকার প্রধান, তা তারা এখনো স্পষ্ট করতে পারেননি।
সোমবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরও পাঁচটি বছর এ সরকারের ক্ষমতায় থাকা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেছেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই এই কারণে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেনো কেউ কেড়ে নিতে না পারে। স্বাধীনতা বিরোধী, খুনি, রাজাকার আলবদর, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, দুর্নীতিবাজ, অস্ত্র চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত খুনি আসামি এরা কখনই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেবে না। যে ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে তারা নাকি সরকার গঠন করবে। সেই সরকারের প্রধান কে হবেন সেটা তারা এখনো দেখাতে পারেননি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন ভালো আছে, দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকে তারা স্বেচ্ছাচারিতা বলছে। দেশের ভালো চাওয়া এবং দেশের মানুষের ভালো থাকা যদি স্বেচ্ছাচারিতা হয় তাহলে তারা কী চান? তারা যে পরিবর্তনের কথা বলছেন তাহলে তারা ক্ষমতায় গেলে আবার লুটপাট, আবার অগ্নিসংযোগ, আবার মানিলন্ডারিং, আবার দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, আবার ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ, আবার গ্রেনেড হামলা, আবার বাংলা ভাই সৃষ্টি, আবার এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা যায় সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবেন?’