‘সিংহ’ হাতে পেয়ে সিংহের মতোই গর্জন দিতে চান হিরো আলম

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে পছন্দের প্রতীক ‘সিংহ’ বরাদ্দ পেয়েছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‌'সিংহ' প্রতীক তুলে দেন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর হিরো আলম বলেন,‌‌ অবশেষে পাঁচ দিনের মাথায় অবশেষে সিংহ প্রতীক পেয়েছি। নির্বাচনী মাঠে এখন সিংহের মতোই গর্জন দিতে চাই।

হিরো আলম আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দ না পেলেও চার দিন আগেই “সিংহ” মার্কার সমর্থনে প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করি।ভোটারের ভালোবাসায় মুগ্ধ ও অভিভূত।

এসময় তিনি আরও বলেন, নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এমপি হতে চাই না, জনগণের জন্য এমপি হতে চাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হলফনামা থেকে জানা গেছে, বার্ষিক আড়াই লাখ টাকা আয় করলেও নির্বাচন করার মতো তার কোনো অর্থ নেই। এ জন্য তিনি শ্বশুর, ফুফা ও ভগ্নিপতির দানের টাকায় নির্বাচন করবেন।

হিরো আলম নির্বাচনে ব্যয় করবেন ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে তার শ্বশুর খোকন দান হিসেবে দেবেন ১ লাখ টাকা, ফুফা আবদুর রাজ্জাক পাইকার দেবেন ২ লাখ টাকা এবং ভগ্নিপতি মো. হিরু প্রামাণিক দেবেন ২ লাখ টাকা।

হলফনামায় তিনি নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। পেশা হিসেবে লিখেছেন অভিনয়। অভিনয় ও কৃষি খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নগদ কোনো টাকা নেই। ব্যাংকে আছে মাত্র এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, এক লাখ টাকা মূল্যের ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, মোবাইল, দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র, স্ত্রীর নামে রয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার মূল্যের ২১ শতক কৃষি জমি।

প্রসঙ্গত, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলম। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ২৮ নভেম্বর নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, এ আসনে বর্তমানে হিরো আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন মহাজোট মনোনীত একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বিএনপির মোশারফ হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (হাত পাখা), তরিকত ফেডারেশনের কাজী এমএ কাশেম (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আয়ুব আলী (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমান (টেলিভিশন)।