নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের উপর হামলার বিষয়টি আমরা অবগত নই। কেউ লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেননি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ফিরে আসার পথে ড. কামালের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড. কামাল কবর স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন। এসময় তার উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলার সময় তার নেতাকর্মীরা ড. কামাল হোসেনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, বৃহস্পতিবার যে সভা হয়েছিল সেখানে মাননীয় কমিশনারগণ পুলিশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অত্যন্ত কড়া ভাষায় বলেছেন, অহেতুক যেন কাউকে হয়রানী করা না হয় এবং বিনা ওয়ারেন্টে যেন কাউকে গ্রেফতার করা না হয়।
তিনি বলেন, ৩০০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৮৪৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তার সঙ্গে আরো অনেক লোক প্রচারে অংশগ্রহণ করছে। বিপুল জনগোষ্টির এ দেশে এ ধরনের একটি বা দুটি ঘটনা ঘটতে পারে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, যদি কোনো পেন্ডিং ওয়ারেন্ট থাকে এবং আদালতের কোনো তাগিদ থাকে তা তামিল করতে হবে। কমিশনাররা এরইমধ্যে এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। দেখা গেছে, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই আগে থেকে অভিযোগ ছিলো। যারা এতোদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এখন ভোটের মাঠে প্রকাশ্যে চলে এসেছেন। পুলিশ তাদের ধরছে বা ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বিএনপির অভিযোগগুলোর বেশিরভাগেরই সত্যতা নেই। এছাড়া যে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে, সেগুলো অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের অভিযোগগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।