মন্ত্রণালয় এখন থেকে সরাসরি যেকোনো বেসরকারি ব্যাংকের তথ্য চাইতে পারবে এবং ব্যাংক গুলো তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। ফলে বেসরকারি ব্যাংকের তথ্যের জন্য মন্ত্রণালয়কে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দারস্থ হতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো মন্ত্রণালয় সরাসরি তথ্য চাইলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে তা দিতে হবে। এতদিন শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে তা জানার সুযোগ ছিল। বেসরকারি ব্যাংকের কোনো তথ্যের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হত। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সম্প্রতি এক সরকারি গেজেটের ফলে মন্ত্রণালয়গুলো এ অধিকার পেল। তবে গোপনীয় নয়, এমন তথ্যই দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রাহকের তথ্য মন্ত্রণালয় চাইলে কোনো ব্যাংক অবশ্য দিতে পারবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইনের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট তথ্য চাইতে পারে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক, আদালত, এনবিআর ও দুদক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৯ অক্টোবর প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এবং কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর আলোকে বেসরকারি ব্যাংকসমূহ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২ (খ) (ই) দফা মোতাবেক ‘কর্তৃপক্ষ’ হিসাবে বিবেচিত, সেহেতু তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২ (খ) (ঞ) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে এর দ্বারা কর্তৃপক্ষ হিসেবে নির্ধারণ করল।