ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে আরও নতুন ৬টি জেলায় ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার চালু হচ্ছে।
চালু হতে যাওয়া নতুন ছয়টি ভিসা রিসিভিং সেন্টার হলো- কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালি, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঠাকুরগাঁও। এ ছাড়া এখোন থেকে পশ্চিমবঙ্গের সিকিম, অরুণাচল, মিজোরাম, কাশ্মীরের লাদাখ, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে বাংলাদেশী ভ্রমনকারীরা প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি হলে এক ব্রিফিংয়ে হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বিষয়টি জানান। বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে দির্ঘ্য আলাপে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি’র নানান দিক ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শ্রিংলা।
বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতের কোনো মাথা ব্যাথা নেই স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেই প্রথম অগ্রাধিকার দেয় তারা। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে দেশটির মোটেও আগ্রহ নেই। ক্ষমতাসিন দল, বিকল্পধারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার বৈঠক ছিলো কূটনৈতিক কর্মপরিকল্পনারই অংশ বিশেষ। বৈঠকগুলো ভিন্নভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
শ্রিংলা বলেন, ভারতে চলতি বছরে স্থলপথে ৩০ লাখ বাংলাদেশী যাতায়াত করেছেন। এখন পর্যন্ত ভারতে ভ্রমন পিপাসু হিসেবে বাংলাদেশীরাই শীর্ষে রয়েছে। একদিনে এখন ১২ হাজার ভিসা জমা নেওয়া হয়। যেটা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। পৃথীবির সব চেয়ে বড় ভিসা সেন্টার হচ্ছে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টা, যা গিনিস বুকে স্থান করে নিয়েছে। যখন গুলশানে ভিসা সেন্টার ছিল তখন র্দীর্ঘ লাইন ও সময় লাগতো। এখন ২০-২৫ মিনিটে কাজ শেষ হয়ে যায়। নতুন করে ছয়টি ভিসা সেন্টার হচ্ছে, যা যমুনা ফিউচার পার্কের ভিসা সেন্টারের আদলে সাজানো হবে।