আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ ‘বেনাপাস’ নামে একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস।
সফটওয়্যারটি ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। নতুন এ সফটওয়্যার উদ্ভাবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বুধবার বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে পুরস্কৃত করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায়, অংশীজনের সমর্থন ও বেনাপোলীয় উৎসাহে এ অগ্রযাত্রা। রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে ‘বেনাপাস’ নামে সফটওয়্যারটি উদ্ভাবন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। সফটওয়্যারটি ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এ সফটওয়্যার সব কাস্টমস স্টেশন ও হাউসে ছড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে। বেনাপাস নির্মাতাদের নগদ পুরস্কার ও বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ সময় অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সগর্বে এ পুরস্কার তুলে দেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর হাতে। ঢাকার কাস্টমস ও কর বিভাগের সব কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও সহকারী কমিশনারসহ এনবিআরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বেনাপাসের জন্য এটি বড় স্বীকৃতি। বাণিজ্যসেবায় বেনাপোল কাস্টম হাউস কাজ করছে। বণিক, বাণিজ্য ও বেনাপোলবাসীর কল্যাণে গত এক বছরে বহু সংস্কার উদ্ভাবন হয়েছে। গত মাসে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমসের মিটিংয়ে এ সফটওয়্যারটি প্রশংসিত হয়।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টকে সংস্কার ও বহিরাগতমুক্তকরণ, কার্গো ব্যবস্থাপনা, পয়োনিষ্কাশন, সুপেয়পানি, সভাকক্ষ, দ্রুত রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি, পণ্য পরীক্ষণ, পণ্যজট, ট্রাকজট, ফোল্ডার চালু, শুল্কায়ন গ্রুপ বিভাজন, বাইপাস সডক চালু, করা হয়েছে। এটি এখন দেশে-বিদেশে প্রশংসা পাচ্ছে।
যুগ্ম কমিশনার আমিমুল ইহসানের নিবিড় সম্পৃক্তিতে প্রায় ১০ মাস আগে ‘বেনাপাস’ সফটওয়্যার নিয়ে কাজ শুরু হয়। কমিশনারের পরিকল্পনা ও একদল সফটওয়্যার কর্মী। প্রথম দিকে অনেক অসম্ভতার চোখ রাঙানি। যুগ্ম কমিশনার শাকিলা পারভীন, এসি সাঈদ রুবেল, এসি উত্তম চাকমা, আরও, এআরওর একটি দল, প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান ও চ্যানেল আই প্রযোজক হানিফের নিবেদিতপ্রাণ দল এটি নিয়ে কাজ করেছেন।