টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০০ সালে আজকের দিনেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।
২০০০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৪০০ রান তুলেছিল। জবাবে ভারতীয় দল তোলে ৪২৯। প্রথম ইনিংসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়া সুনীল যোশি করেছিলেন ৯২ রান। সদাগোপান রমেশ করেছিলেন ৫৮। বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায় ৯১ রানে। এক উইকেট হারিয়েই ভারত জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।
প্রথম টেস্ট ম্যাচের অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এরপর পরের ১৮ বছরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় এসেছে ১০ ম্যাচে। হেরেছে ৮৩টিতে। আর ড্র করেছে ১৬ ম্যাচ।
টেস্টে ১০টি জয়ের পাঁচটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি করে। আর সবশেষ জয়টি গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যেটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।
টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ১৮ বছরে কার কেমন পারফরম্যান্স, তা নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে। সেই তালিকায় পারফরম্যান্সের নিরিখে সবার পিছনে রয়েছে বাংলাদেশ। সবার উপরে ইংল্যান্ড। ভারত রয়েছে ছয় নম্বরে। অস্ট্রেলিয়া ৪৩টি ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে ১৪টি। হেরেছে ২৩টি। ড্র ৬টি ম্যাচে। সাফল্যের হার ৩৯.৫%। ইংল্যান্ড ৪৬টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ২৬টি। হার ১৪টিতে। ড্র ছটি ম্যাচ। সাফল্যের হার ৬৩ শতাংশ। ভারত প্রথম ১৮ বছরে খেলেছে ২০টি টেস্ট। জেতেনি একটাও। হার ১১টি ম্যাচে। ড্র ৯টি। সাফল্যের হার ২২.৫ শতাংশ। পাকিস্তান ৫৯টি টেস্ট খেলে জিতেছে ১০টি। ১৭টি হেরেছে ও ৩২টি ড্র করেছে। সাফল্যের হার ৪৪.১। শ্রীলঙ্কা ৯৬টি ম্যাচ খেলে ১৬টি জিতেছে মাত্র। ৩৮টি হেরেছে। ড্র ৪২টি ম্যাচ। সাফল্যের হার ৩৮.৫ শতাংশ। সাফল্যের হারে বাংলাদেশ সবার পিছনে। ১০৯টি ম্যাচ খেলেছে তারা। জয় ১০টি ম্যাচে। হার ৮৩। ড্র ১৬। সাফল্যের হার ১৬.৫ শতাংশ।